ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ দফা দাবি আদায়ে তৎপর পেট্রল পাম্প-ট্যাংকলরি মালিকরা, আলটিমেটাম ঘোষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

জ্বালানি তেল খাতে ন্যায্য অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার দাবিতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে ১২ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে পরিষদ জানিয়েছে, সময়মতো দাবি না মানা হলে আগামী ২৫ মে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করা হবে। এ সময় সারাদেশে পেট্রল পাম্পে বিক্রি এবং ট্যাংকলরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

রবিবার (১১ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দাবি অনুযায়ী পেট্রল পাম্পে তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ইজারাকৃত জমির মাসুল আগের হারেই বহাল রাখা, নবায়নের সময় পে-অর্ডারসহ আবেদন জমা দিলেই তা নবায়ন হিসেবে গণ্য করা, বিএসটিআইয়ের আগের নিয়মে ডিসপেন্সিং ইউনিট স্ট্যাম্পিং ও পরিমাপ যাচাই চালু রাখা এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি ও নিবন্ধন প্রথা বাতিলের দাবি জানানো হয়।

এছাড়া অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থানে ঘর বা খোলা জায়গায় মেশিন বসিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ, ডিলার ছাড়া বিপণন কোম্পানির সরাসরি বিক্রি নিষিদ্ধ, ট্যাংকলরি চালকসংকট মোকাবেলায় লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ করা, রাস্তায় যত্রতত্র ট্যাংকলরি থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই বন্ধ, এবং ডিপোর গেটেই কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, “২০২৫ সালের শুরু থেকে বারবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া এবং বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এ আশ্বাসের ভিত্তিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আজ ১১ মে পর্যন্ত কোনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা চরম হতাশ।”

তিনি আরও জানান, “আমরা সরকারকে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে দাবি না মানা হলে ২৫ মে প্রতীকী কর্মবিরতির মাধ্যমে জ্বালানি তেল ব্যবসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হবো।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, জুবায়ের আহাম্মেদ চৌধুরী এবং দেশের বিভিন্ন বিভাগের তেল ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা একযোগে দাবি আদায়ে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

১০ দফা দাবি আদায়ে তৎপর পেট্রল পাম্প-ট্যাংকলরি মালিকরা, আলটিমেটাম ঘোষণা

আপডেট সময় ০৬:২০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

জ্বালানি তেল খাতে ন্যায্য অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার দাবিতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে ১২ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে পরিষদ জানিয়েছে, সময়মতো দাবি না মানা হলে আগামী ২৫ মে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করা হবে। এ সময় সারাদেশে পেট্রল পাম্পে বিক্রি এবং ট্যাংকলরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

রবিবার (১১ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দাবি অনুযায়ী পেট্রল পাম্পে তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ইজারাকৃত জমির মাসুল আগের হারেই বহাল রাখা, নবায়নের সময় পে-অর্ডারসহ আবেদন জমা দিলেই তা নবায়ন হিসেবে গণ্য করা, বিএসটিআইয়ের আগের নিয়মে ডিসপেন্সিং ইউনিট স্ট্যাম্পিং ও পরিমাপ যাচাই চালু রাখা এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি ও নিবন্ধন প্রথা বাতিলের দাবি জানানো হয়।

এছাড়া অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থানে ঘর বা খোলা জায়গায় মেশিন বসিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ, ডিলার ছাড়া বিপণন কোম্পানির সরাসরি বিক্রি নিষিদ্ধ, ট্যাংকলরি চালকসংকট মোকাবেলায় লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ করা, রাস্তায় যত্রতত্র ট্যাংকলরি থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই বন্ধ, এবং ডিপোর গেটেই কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, “২০২৫ সালের শুরু থেকে বারবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া এবং বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এ আশ্বাসের ভিত্তিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আজ ১১ মে পর্যন্ত কোনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা চরম হতাশ।”

তিনি আরও জানান, “আমরা সরকারকে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে দাবি না মানা হলে ২৫ মে প্রতীকী কর্মবিরতির মাধ্যমে জ্বালানি তেল ব্যবসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হবো।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, জুবায়ের আহাম্মেদ চৌধুরী এবং দেশের বিভিন্ন বিভাগের তেল ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা একযোগে দাবি আদায়ে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।