সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় ভারতকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের অগ্রগতি

- আপডেট সময় ১১:২৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / 17
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ এবার ১৬ ধাপ এগিয়ে ১৪৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) একে এখনো ‘বেশ গুরুতর’ অবস্থা হিসেবেই চিহ্নিত করেছে।
গতকাল শুক্রবার ২০২৫ সালের সূচক প্রকাশ করে সংস্থাটি জানায়, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৩৩.৭১, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম, তার আগের বছর ১৬৩তম। ২০১৮ সালের পর এই প্রথমবার ১৫০-এর ভেতরে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত রয়েছে ১৫১তম, পাকিস্তান ১৫৮তম এবং ভুটান ১৫২তম স্থানে—সবগুলো দেশই বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে। অন্যদিকে নেপাল (৯০তম), মালদ্বীপ (১০৪তম) এবং শ্রীলঙ্কা (১৩৯তম) এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের তুলনায়।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বলেছে, এবারের সূচকে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম হ্রাস পেয়েছে। সংস্থাটির দাবি, সূচকের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্বের অর্ধেক দেশের সাংবাদিকদের কাজ করার পরিবেশকে ‘খারাপ’ বলা হয়েছে, আর মাত্র এক-চতুর্থাংশ দেশে পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’।
বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও এবার পেছিয়েছে। গত বছর ১১ ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার পর এবার আরও দুই ধাপ নেমে দেশটির অবস্থান হয়েছে ৫৭তম। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিয়েরা লিওনের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরএসএফ জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘আশঙ্কাজনকভাবে অবনতি’ ঘটেছে, যা দেশটিতে স্বৈরশাসনের ইঙ্গিত দেয়।
অন্যদিকে টানা নবমবারের মতো সূচকের শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এস্তোনিয়া এবং তৃতীয় স্থানে নেদারল্যান্ডস।
২০০২ সাল থেকে প্রতিবছর এই সূচক প্রকাশ করছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস। এতে বিবেচনায় নেওয়া হয় রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থনৈতিক চাপ, আইনগত কাঠামো, নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা।