ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশের সামনে দারুণ সুযোগ: বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার লড়াই বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার ছিনতাইকারী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের ‘না’, প্রস্তাবে যা বলেছে ইসরায়েল ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন তালেবান আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, রায় দিল রাশিয়া গুগল এখন অস্ত্র ও নজরদারির জন্য এআই তৈরি করছে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর হামলায় ৫ জন নিহত, ৪ জন আহত — সন্দেহভাজন আটক ইসরায়েল সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহকে হটাতে কাজ করছে লেবানন সেনাবাহিনী

আমবাগানের শপথে জেগে ওঠে বীরত্বগাথার ইতিহাস: মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

মেহেরপুরের মুজিবনগরের ঐতিহাসিক আমবাগানে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো মুজিবনগর দিবস। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনার গ্রহণ ও শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, যিনি একাত্তরের সেই ঐতিহাসিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই আমবাগানে গঠিত হয়েছিল যে সরকার, তা ছিল একটি বীরত্বের অধ্যায়। ইতিহাসের গায়ে কিছু আরোপ করা যায় না। সেই সরকারের স্মৃতি চিরন্তন, অমলিন।”

সেই সময়ের প্রথম সরকারের গার্ড অব অনার প্রদানকারী দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন ও আজিম উদ্দিনকে এ সময় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন উপদেষ্টা।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত এ আয়োজনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানান, “মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে যা কিছু নির্মাণ হবে, সবই হবে ঐতিহাসিক সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার ভিত্তিতে। কোনো রকম ইতিহাস বিকৃতি বরদাশত করা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “কমপ্লেক্সের কিছু ভাস্কর্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সেগুলো যৌক্তিকভাবে পুনর্নির্মাণ করবো, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে।”

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে অনেক রিট রয়েছে। আমরা সেগুলোর নিষ্পত্তির কাজ করছি। এটি একটি বড় সমস্যা, যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।”

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পরে উপদেষ্টা আমবাগান ও স্মৃতি কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ করে। ওই সরকারের নেতৃত্বেই নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। প্রতিবছর ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে এবার অনুষ্ঠান ছিল কিছুটা সংক্ষিপ্ত, ছিল না আলোচনা সভা বা সাংস্কৃতিক আয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমবাগানের শপথে জেগে ওঠে বীরত্বগাথার ইতিহাস: মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১০:৫২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

মেহেরপুরের মুজিবনগরের ঐতিহাসিক আমবাগানে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো মুজিবনগর দিবস। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনার গ্রহণ ও শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, যিনি একাত্তরের সেই ঐতিহাসিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই আমবাগানে গঠিত হয়েছিল যে সরকার, তা ছিল একটি বীরত্বের অধ্যায়। ইতিহাসের গায়ে কিছু আরোপ করা যায় না। সেই সরকারের স্মৃতি চিরন্তন, অমলিন।”

সেই সময়ের প্রথম সরকারের গার্ড অব অনার প্রদানকারী দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন ও আজিম উদ্দিনকে এ সময় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন উপদেষ্টা।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত এ আয়োজনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানান, “মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে যা কিছু নির্মাণ হবে, সবই হবে ঐতিহাসিক সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার ভিত্তিতে। কোনো রকম ইতিহাস বিকৃতি বরদাশত করা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “কমপ্লেক্সের কিছু ভাস্কর্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সেগুলো যৌক্তিকভাবে পুনর্নির্মাণ করবো, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে।”

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে অনেক রিট রয়েছে। আমরা সেগুলোর নিষ্পত্তির কাজ করছি। এটি একটি বড় সমস্যা, যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।”

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পরে উপদেষ্টা আমবাগান ও স্মৃতি কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ করে। ওই সরকারের নেতৃত্বেই নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। প্রতিবছর ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে এবার অনুষ্ঠান ছিল কিছুটা সংক্ষিপ্ত, ছিল না আলোচনা সভা বা সাংস্কৃতিক আয়োজন।