ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

বর্ষবরণে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রসঙ্গে যা বললেন প্রেসসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫০৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গতকাল সারাদেশে আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা।

বর্ষবরণের এই বিশাল আয়োজনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি ও সুশৃঙ্খল দায়িত্ব পালনের কারণে রাজধানীজুড়ে ছিলো নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশ।

এই সফল নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকাকে “উদাহরণযোগ্য” বলে মন্তব্য করেন।

তিনি লেখেন, “পহেলা বৈশাখে পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দারুণ কাজ দেখেছি। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, তবে কোনো অপ্রয়োজনীয় কড়াকড়ি ছিল না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “লাখ লাখ মানুষ রাজধানীর রাস্তায় নামলেও সার্বিকভাবে কোনো যানজট ছিল না, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে ড্রোন শোয়ের পরে সামান্য যানজট দেখা গেলেও গাড়ি এবং বাস চলাচল অব্যাহত ছিল।”

রাজধানীর রমনা, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি এবং ধানমন্ডি লেকে হাজার হাজার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে নববর্ষ উদযাপন করেছে। উৎসবস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি, গোয়েন্দা নজরদারি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার বিশেষ করে সিসিটিভি ও ড্রোন পর্যবেক্ষণ নাগরিকদের মধ্যে বাড়তি আস্থার জন্ম দিয়েছে।

এ বছর বর্ষবরণে ছিলো বাড়তি মাত্রা রাতে ছিলো রঙিন ড্রোন শো। হাজারো আলোর ঝলকানি ও নিখুঁত সমন্বয়ে উপস্থাপিত এই আয়োজন আরও প্রাণবন্ত করে তোলে নববর্ষের প্রথম দিনটিকে।

সার্বিকভাবে এবার পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং যান চলাচল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব প্রশংসা পেয়েছে সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে। প্রেসসচিবের পোস্ট সেটিই যেন সরকারি মহল থেকেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্ষবরণে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রসঙ্গে যা বললেন প্রেসসচিব

আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গতকাল সারাদেশে আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা।

বর্ষবরণের এই বিশাল আয়োজনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি ও সুশৃঙ্খল দায়িত্ব পালনের কারণে রাজধানীজুড়ে ছিলো নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশ।

এই সফল নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকাকে “উদাহরণযোগ্য” বলে মন্তব্য করেন।

তিনি লেখেন, “পহেলা বৈশাখে পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দারুণ কাজ দেখেছি। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, তবে কোনো অপ্রয়োজনীয় কড়াকড়ি ছিল না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “লাখ লাখ মানুষ রাজধানীর রাস্তায় নামলেও সার্বিকভাবে কোনো যানজট ছিল না, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে ড্রোন শোয়ের পরে সামান্য যানজট দেখা গেলেও গাড়ি এবং বাস চলাচল অব্যাহত ছিল।”

রাজধানীর রমনা, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি এবং ধানমন্ডি লেকে হাজার হাজার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে নববর্ষ উদযাপন করেছে। উৎসবস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি, গোয়েন্দা নজরদারি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার বিশেষ করে সিসিটিভি ও ড্রোন পর্যবেক্ষণ নাগরিকদের মধ্যে বাড়তি আস্থার জন্ম দিয়েছে।

এ বছর বর্ষবরণে ছিলো বাড়তি মাত্রা রাতে ছিলো রঙিন ড্রোন শো। হাজারো আলোর ঝলকানি ও নিখুঁত সমন্বয়ে উপস্থাপিত এই আয়োজন আরও প্রাণবন্ত করে তোলে নববর্ষের প্রথম দিনটিকে।

সার্বিকভাবে এবার পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং যান চলাচল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব প্রশংসা পেয়েছে সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে। প্রেসসচিবের পোস্ট সেটিই যেন সরকারি মহল থেকেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো।