০৯:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
আপনারা যদি পাশে থাকেন, মার্কা যা-ই হোক, নির্বাচন করব: রুমিন ভারতের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে বড় চমক, বাদ শুভমান গিল মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার আর নেই ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ ‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

বর্ষবরণে গাজার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, ছায়ানটে এক মিনিট নীরবতা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 244

ছবি সংগৃহীত

 

নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে রমনার বটমূলে বেজে উঠেছিল বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আগমনী সুর। ছায়ানটের আয়োজনে হাজারো মানুষের কণ্ঠে মিলেছিল গান, ভালোবাসা আর ঐতিহ্যের ছন্দ। তবে এবারের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ছিল কিছুটা ভিন্ন। আনন্দ-উৎসবের মাঝেও ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত নিরীহ মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজনটি থেমে গিয়েছিল এক মুহূর্তের জন্য।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হবার আগমুহূর্তে শিল্পী ও উপস্থিত দর্শনার্থীরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এই সময় রমনার ছায়া ঘেরা প্রাঙ্গণে নেমে আসে গভীর শোক আর মানবতার অনুপম এক বার্তা।

বিজ্ঞাপন

নীরবতা পালনের আগে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ গণহত্যা, বিশেষ করে শিশুদের হত্যাকাণ্ড আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এই মানবিক বিপর্যয়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ফিলিস্তিনবাসীর ন্যায্য অধিকারের সংগ্রামে সংহতি প্রকাশ করছি।”

এ বছরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ছিল ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। গানের মধ্য দিয়ে আলো, প্রকৃতি, মানবতা ও দেশপ্রেমের জয়গান করা হয়। এই আয়োজনে ছায়ানটের শিল্পীরা তুলে ধরেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং পল্লীগীতির মেলবন্ধনে সাজানো গানের পরিবেশনা।

ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও এটি প্রচারিত হয়।

১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে ছায়ানট প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষের আয়োজন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করতে তিন মাস ধরে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে চলে গানের মহড়া। আর ৮ এপ্রিল থেকে রমনার বটমূলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।

গানের মাধ্যমে জাতির আত্মপরিচয় ও মানবতার বাণী ছড়িয়ে দেয়ার এই প্রয়াসে বর্ষবরণ হয়ে উঠল শুধু উৎসব নয়, প্রতিবাদের এক অনন্য মাধ্যম।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্ষবরণে গাজার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, ছায়ানটে এক মিনিট নীরবতা

আপডেট সময় ১০:০০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে রমনার বটমূলে বেজে উঠেছিল বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আগমনী সুর। ছায়ানটের আয়োজনে হাজারো মানুষের কণ্ঠে মিলেছিল গান, ভালোবাসা আর ঐতিহ্যের ছন্দ। তবে এবারের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ছিল কিছুটা ভিন্ন। আনন্দ-উৎসবের মাঝেও ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত নিরীহ মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজনটি থেমে গিয়েছিল এক মুহূর্তের জন্য।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হবার আগমুহূর্তে শিল্পী ও উপস্থিত দর্শনার্থীরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এই সময় রমনার ছায়া ঘেরা প্রাঙ্গণে নেমে আসে গভীর শোক আর মানবতার অনুপম এক বার্তা।

বিজ্ঞাপন

নীরবতা পালনের আগে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ গণহত্যা, বিশেষ করে শিশুদের হত্যাকাণ্ড আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এই মানবিক বিপর্যয়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ফিলিস্তিনবাসীর ন্যায্য অধিকারের সংগ্রামে সংহতি প্রকাশ করছি।”

এ বছরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ছিল ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। গানের মধ্য দিয়ে আলো, প্রকৃতি, মানবতা ও দেশপ্রেমের জয়গান করা হয়। এই আয়োজনে ছায়ানটের শিল্পীরা তুলে ধরেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং পল্লীগীতির মেলবন্ধনে সাজানো গানের পরিবেশনা।

ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও এটি প্রচারিত হয়।

১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে ছায়ানট প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষের আয়োজন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করতে তিন মাস ধরে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে চলে গানের মহড়া। আর ৮ এপ্রিল থেকে রমনার বটমূলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।

গানের মাধ্যমে জাতির আত্মপরিচয় ও মানবতার বাণী ছড়িয়ে দেয়ার এই প্রয়াসে বর্ষবরণ হয়ে উঠল শুধু উৎসব নয়, প্রতিবাদের এক অনন্য মাধ্যম।