ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

গাজায় ফের রক্তগঙ্গা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হামাসের মুখপাত্রসহ শতাধিক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 19

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় আবারও রক্তাক্ত হচ্ছে ফিলিস্তিন। সর্বশেষ এক হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া। উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকায় নিজ তাঁবুতে থাকাকালে ভোররাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান তিনি। হামাস-অনুমোদিত সংবাদমাধ্যম ও কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

একই হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। গাজার অন্যান্য অংশেও একই সময়ে চালানো হয় বিস্ফোরক হামলা। গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন ছয়জন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র।

সাম্প্রতিক এ হামলার ফলে আবারও ভেঙে পড়েছে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির স্বপ্ন। গত সপ্তাহে ইসরায়েল স্থল অভিযান ও বিমান হামলা পুনরায় শুরুর পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১৮ মার্চ শুরু হওয়া নতুন ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।

এর আগে সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইসমাইল বারহুম ও সালাহ আল-বারহুমকেও হত্যা করে। হামাস জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করে যাচ্ছে। হামাস এখনও ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে আটকে রেখেছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাস যদি অবিলম্বে সব জিম্মিকে মুক্ত না করে, তাহলে গাজার আরও এলাকা দখলের জন্য অভিযান চালানো হবে।

গাজার ২.৩ মিলিয়ন মানুষ এখন ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে। হাসপাতালগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব প্রকট, আর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় কাতর শিশুদের চোখে জমে আছে যুদ্ধের আতঙ্ক।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ফের রক্তগঙ্গা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হামাসের মুখপাত্রসহ শতাধিক

আপডেট সময় ১২:১৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় আবারও রক্তাক্ত হচ্ছে ফিলিস্তিন। সর্বশেষ এক হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া। উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকায় নিজ তাঁবুতে থাকাকালে ভোররাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান তিনি। হামাস-অনুমোদিত সংবাদমাধ্যম ও কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

একই হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। গাজার অন্যান্য অংশেও একই সময়ে চালানো হয় বিস্ফোরক হামলা। গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন ছয়জন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র।

সাম্প্রতিক এ হামলার ফলে আবারও ভেঙে পড়েছে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির স্বপ্ন। গত সপ্তাহে ইসরায়েল স্থল অভিযান ও বিমান হামলা পুনরায় শুরুর পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১৮ মার্চ শুরু হওয়া নতুন ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।

এর আগে সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইসমাইল বারহুম ও সালাহ আল-বারহুমকেও হত্যা করে। হামাস জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করে যাচ্ছে। হামাস এখনও ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে আটকে রেখেছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাস যদি অবিলম্বে সব জিম্মিকে মুক্ত না করে, তাহলে গাজার আরও এলাকা দখলের জন্য অভিযান চালানো হবে।

গাজার ২.৩ মিলিয়ন মানুষ এখন ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে। হাসপাতালগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব প্রকট, আর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় কাতর শিশুদের চোখে জমে আছে যুদ্ধের আতঙ্ক।