ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, শান্তিচুক্তির মাঝেও উত্তেজনা তুঙ্গে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / 29

ছবি: সংগৃহীত

 

রাশিয়া আবারও ইউক্রেনের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। বুধবার ভোরে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইকোলাইভ বন্দরে চালানো হামলায় শহরজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। এ বন্দর দিয়েই ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করে। হামলার পর অঞ্চলটিতে সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

একইসঙ্গে মধ্য ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্রিভি রিহ-তেও চালানো হয়েছে ব্যাপক ড্রোন হামলা। শহরটির সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার ভিলকুল জানান, এটি শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা ছিল। তিনি বলেন, “স্পষ্টতই দখলদাররা এইভাবেই শান্তি চায়।” তবে আশার কথা, এই হামলায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ক্রিভি রিহে অন্তত ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আগুন ধরে গেছে বেশ কিছু স্থানে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ভবন। শহরটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্মস্থান এবং রাশিয়ান হামলার ঘন ঘন লক্ষ্যবস্তু হিসেবেও পরিচিত।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণ সাগরে ও জ্বালানিভিত্তিক অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় চুক্তিতে পৌঁছেছে। যদিও এসব চুক্তি কখন বাস্তবায়িত হবে বা কতটা কার্যকর হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতভর রাশিয়ার ছোড়া ১১৭টি ড্রোনের মধ্যে তারা ৫৬টি গুলি করে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো নয়টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে দুটি ছিল কৃষ্ণ সাগরের ওপরে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মাইকোলাইভ ও ক্রিভি রিহে হামলার ঘটনাগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে হামলার ধরন ও ব্যাপকতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও বাস্তবে তা এখনো অনেক দূরের পথ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, শান্তিচুক্তির মাঝেও উত্তেজনা তুঙ্গে

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

রাশিয়া আবারও ইউক্রেনের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। বুধবার ভোরে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইকোলাইভ বন্দরে চালানো হামলায় শহরজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। এ বন্দর দিয়েই ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করে। হামলার পর অঞ্চলটিতে সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

একইসঙ্গে মধ্য ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্রিভি রিহ-তেও চালানো হয়েছে ব্যাপক ড্রোন হামলা। শহরটির সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার ভিলকুল জানান, এটি শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা ছিল। তিনি বলেন, “স্পষ্টতই দখলদাররা এইভাবেই শান্তি চায়।” তবে আশার কথা, এই হামলায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ক্রিভি রিহে অন্তত ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আগুন ধরে গেছে বেশ কিছু স্থানে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ভবন। শহরটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্মস্থান এবং রাশিয়ান হামলার ঘন ঘন লক্ষ্যবস্তু হিসেবেও পরিচিত।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণ সাগরে ও জ্বালানিভিত্তিক অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় চুক্তিতে পৌঁছেছে। যদিও এসব চুক্তি কখন বাস্তবায়িত হবে বা কতটা কার্যকর হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতভর রাশিয়ার ছোড়া ১১৭টি ড্রোনের মধ্যে তারা ৫৬টি গুলি করে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো নয়টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে দুটি ছিল কৃষ্ণ সাগরের ওপরে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মাইকোলাইভ ও ক্রিভি রিহে হামলার ঘটনাগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে হামলার ধরন ও ব্যাপকতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও বাস্তবে তা এখনো অনেক দূরের পথ।