ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে ঈদ রোববার আকাশে বিরল বিস্ফোরণের দৃশ্য: আজ দেখা যেতে পারে ‘নোভা’র চমক গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সজ্জিত সুইসাইড’ বা আত্মঘাতী ড্রোনের সফল পরীক্ষা তদারকি করেলন কিম জং উন: নতুন সামরিক রূপে উত্তর কোরিয়া ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশে ক্ষুব্ধ দিল্লি ঈদ উৎসবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া: উত্তরে প্রস্তুতি চলছে বর্ণিল ঈদ মিছিলের- জানালেন আসিফ মাহমুদ দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা ঐতিহ্য আর ভক্তির মিলনমেলা—তিতাস নদীতে গঙ্গাস্নান ও লোকজ উৎসব ভারত থেকে আসল আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, মোট আমদানির পরিমাণ ছাড়াল প্রায় ৩ লাখ টন এশিয়ার অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে যৌথ রোডম্যাপের আহ্বান ড. ইউনূসের

মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের একজন ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার হয়ে কর্মরত, অপরজন ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সংবাদকর্মী।

গতকাল সোমবার উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হন ২৩ বছর বয়সী হোসাম শাবাত। তিনি আল-জাজিরা মুবাশ্বেরে কাজ করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোসামের গাড়ি লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালানো হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই।

আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি তারেক আবু আজ্জুম বলেন, কিছুদিন আগে আরেকটি হামলায় আহত হয়েছিলেন হোসাম, তবুও সাংবাদিকতা থামাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে।

একই দিনে গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসে নিজ বাড়িতে নিহত হন মোহাম্মদ মানসুর। তিনি ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সাংবাদিক ছিলেন। ওই সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানও ছিলেন। এই হামলাও ছিল পূর্ব সতর্কতা ও কারণ ব্যতিরেকে চালানো, জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।

গাজা মিডিয়া অফিস (জিএমও) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে জিএমও বলেছে, সাংবাদিকদের হত্যা ও গুম করার মতো জঘন্য অপরাধ ইসরায়েল পদ্ধতিগতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর পাশাপাশি এর মদদদাতা দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিকেও এ নৃশংসতার জন্য দায়ী করেছে। জিএমও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা গাজার সাংবাদিকদের ওপর চালানো এই পেশাগত গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।

সংবাদপত্র, গণমাধ্যম ও সত্য অনুসন্ধানের স্বাধীনতার ওপর এমন হামলা কেবল গাজা নয়, গোটা বিশ্ব সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:২৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা

আপডেট সময় ০৪:২৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের একজন ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার হয়ে কর্মরত, অপরজন ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সংবাদকর্মী।

গতকাল সোমবার উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হন ২৩ বছর বয়সী হোসাম শাবাত। তিনি আল-জাজিরা মুবাশ্বেরে কাজ করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোসামের গাড়ি লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালানো হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই।

আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি তারেক আবু আজ্জুম বলেন, কিছুদিন আগে আরেকটি হামলায় আহত হয়েছিলেন হোসাম, তবুও সাংবাদিকতা থামাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে।

একই দিনে গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসে নিজ বাড়িতে নিহত হন মোহাম্মদ মানসুর। তিনি ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সাংবাদিক ছিলেন। ওই সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানও ছিলেন। এই হামলাও ছিল পূর্ব সতর্কতা ও কারণ ব্যতিরেকে চালানো, জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।

গাজা মিডিয়া অফিস (জিএমও) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে জিএমও বলেছে, সাংবাদিকদের হত্যা ও গুম করার মতো জঘন্য অপরাধ ইসরায়েল পদ্ধতিগতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর পাশাপাশি এর মদদদাতা দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিকেও এ নৃশংসতার জন্য দায়ী করেছে। জিএমও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা গাজার সাংবাদিকদের ওপর চালানো এই পেশাগত গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।

সংবাদপত্র, গণমাধ্যম ও সত্য অনুসন্ধানের স্বাধীনতার ওপর এমন হামলা কেবল গাজা নয়, গোটা বিশ্ব সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।