ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সফর ঘিরে কূটনৈতিক উত্তেজনা, ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতারা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফরকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে অঞ্চলটির রাজনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্সের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড সফর করছে। তবে এ সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রিনল্যান্ডের শীর্ষ নেতৃত্ব।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সফরে রয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওলাৎজ এবং জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট। সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন এবং ঐতিহ্যবাহী কুকুরে টানা স্লেজ প্রতিযোগিতা উপভোগ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

তবে এই সফর নিয়ে গ্রিনল্যান্ডে রয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে একে ‘উসকানিমূলক’ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোনো বৈঠক করবে না। এই অবস্থান স্পষ্ট করছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের এ সফর স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কোনো সমন্বয় ছাড়াই হয়েছে অথবা স্থানীয় নেতৃত্বকে পাশ কাটিয়ে আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগেও গ্রিনল্যান্ডকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় ওঠে, যখন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে এই অঞ্চলটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি প্রয়োজনে অর্থ ব্যয় ও সামরিক শক্তি প্রয়োগের কথাও বলেন তিনি। ফলে গ্রিনল্যান্ড ভূ-রাজনৈতিকভাবে নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ ও কৌশলগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এখন এখানে প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী। তবে স্থানীয় নেতারা নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপসহীন অবস্থান নিচ্ছেন।

এই সফর কূটনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রিনল্যান্ডের সম্পর্কের নতুন মাত্রা তৈরি করতে পারে, তবে তা হবে কীভাবে সমঝোতার ভিত্তিতে নাকি উত্তেজনার মাধ্যমে তা সময়ই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সফর ঘিরে কূটনৈতিক উত্তেজনা, ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতারা

আপডেট সময় ১০:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফরকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে অঞ্চলটির রাজনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্সের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড সফর করছে। তবে এ সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রিনল্যান্ডের শীর্ষ নেতৃত্ব।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সফরে রয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওলাৎজ এবং জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট। সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন এবং ঐতিহ্যবাহী কুকুরে টানা স্লেজ প্রতিযোগিতা উপভোগ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

তবে এই সফর নিয়ে গ্রিনল্যান্ডে রয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে একে ‘উসকানিমূলক’ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোনো বৈঠক করবে না। এই অবস্থান স্পষ্ট করছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের এ সফর স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কোনো সমন্বয় ছাড়াই হয়েছে অথবা স্থানীয় নেতৃত্বকে পাশ কাটিয়ে আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগেও গ্রিনল্যান্ডকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় ওঠে, যখন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে এই অঞ্চলটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি প্রয়োজনে অর্থ ব্যয় ও সামরিক শক্তি প্রয়োগের কথাও বলেন তিনি। ফলে গ্রিনল্যান্ড ভূ-রাজনৈতিকভাবে নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ ও কৌশলগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এখন এখানে প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী। তবে স্থানীয় নেতারা নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপসহীন অবস্থান নিচ্ছেন।

এই সফর কূটনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রিনল্যান্ডের সম্পর্কের নতুন মাত্রা তৈরি করতে পারে, তবে তা হবে কীভাবে সমঝোতার ভিত্তিতে নাকি উত্তেজনার মাধ্যমে তা সময়ই বলে দেবে।