ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে কি বলছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ? যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি কর্মকর্তা বহিষ্কার রূপচর্চায় বিপজ্জনক উপাদান গ্রিসের ক্রিট উপকূলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, মিসরেও অনুভূত গাজায় ইউরোপীয় হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত অন্তত ২৮ জন আজ নিজ জন্মভূমি চট্টগ্রাম সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী? আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে ভারতের উদ্বেগ নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা, মরদেহ ফেলার সময় আটক ২ ঢাকার মূল সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ: ডিএনসিসি প্রশাসক

প্যারিস সম্মেলন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে অনুদানের আবেদন ডিএনসিসি প্রশাসকের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের বদলে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী ‘পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ সামিট ২০২৫’-এ অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। ১৮ থেকে ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ৬১টি শহর থেকে ৩৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন, যার মধ্যে ছিলেন ১২ জন নগরপ্রধান।

এক আন্তর্জাতিক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আমরা ঋণ নিতে আগ্রহী নই। উন্নত দেশগুলো শিল্পায়নের মাধ্যমে যে ক্ষতি করেছে, তার দায় তারা এড়াতে পারে না। জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ডের আওতায় আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত। তাই আমরা ঋণের পরিবর্তে অনুদানের দাবি জানাচ্ছি।”

নিজের বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন শহরের কার্যকরী অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে। পাশাপাশি পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ নেটওয়ার্ক ইতোমধ্যে ঢাকাকে বায়ুদূষণ পরিমাপক যন্ত্রসহ নানা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঢাকা একটি চরম দূষণের শহর। এর কোনো সীমানা নেই পাশের শহর ও দেশের শিল্প কার্যক্রম থেকেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি।”

২০১৭ সালে গঠিত ‘পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ’ বর্তমানে ৭৪টি শহরের মধ্যে একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক, যা শহরগুলোকে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে নীতিগত ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে বায়ুদূষণ রোধে কাজ করে যাচ্ছে।

ডিএনসিসি প্রশাসক আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আন্তর্জাতিক এই নেটওয়ার্কের অংশীদারিত্ব ঢাকাকে আরও স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য নগরে রূপান্তরে সহায়তা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্যারিস সম্মেলন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে অনুদানের আবেদন ডিএনসিসি প্রশাসকের

আপডেট সময় ০৫:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের বদলে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী ‘পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ সামিট ২০২৫’-এ অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। ১৮ থেকে ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ৬১টি শহর থেকে ৩৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন, যার মধ্যে ছিলেন ১২ জন নগরপ্রধান।

এক আন্তর্জাতিক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আমরা ঋণ নিতে আগ্রহী নই। উন্নত দেশগুলো শিল্পায়নের মাধ্যমে যে ক্ষতি করেছে, তার দায় তারা এড়াতে পারে না। জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ডের আওতায় আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত। তাই আমরা ঋণের পরিবর্তে অনুদানের দাবি জানাচ্ছি।”

নিজের বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন শহরের কার্যকরী অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে। পাশাপাশি পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ নেটওয়ার্ক ইতোমধ্যে ঢাকাকে বায়ুদূষণ পরিমাপক যন্ত্রসহ নানা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঢাকা একটি চরম দূষণের শহর। এর কোনো সীমানা নেই পাশের শহর ও দেশের শিল্প কার্যক্রম থেকেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি।”

২০১৭ সালে গঠিত ‘পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ’ বর্তমানে ৭৪টি শহরের মধ্যে একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক, যা শহরগুলোকে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে নীতিগত ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে বায়ুদূষণ রোধে কাজ করে যাচ্ছে।

ডিএনসিসি প্রশাসক আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আন্তর্জাতিক এই নেটওয়ার্কের অংশীদারিত্ব ঢাকাকে আরও স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য নগরে রূপান্তরে সহায়তা করবে।