ইসরাইলি হামলায় গুঁড়িয়ে গেল গাজার তুরস্ক-ফিলিস্তিন মৈত্রী হাসপাতাল

- আপডেট সময় ০৪:২২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / 20
দখলদার ইসরাইলের বর্বরোচিত আগ্রাসনের নতুন শিকার হলো গাজার তুরস্ক-ফিলিস্তিন মৈত্রী হাসপাতাল। নেটজারিম করিডোরের নিকট এই হাসপাতালটি ছিল চিকিৎসাসেবার অন্যতম ভরসা, যেখানে অসংখ্য আহত ও রোগীরা সেবা পেয়ে আসছিলেন।
হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় ধ্বংস হয়ে গেছে শুধু একটি হাসপাতাল নয়, ভেঙে পড়েছে হাজারো মানুষের চিকিৎসার আশা। হাসপাতালটি গাজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে পরিচালিত হতো, যা একইসাথে গবেষণা ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করত।
স্থানীয় সূত্র বলছে, হামলার সময় হাসপাতালটিতে অনেক রোগী ও মেডিকেল স্টাফ অবস্থান করছিলেন। হামলার পর বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই হাসপাতালটি তুরস্ক ও ফিলিস্তিনের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছিল। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে তুরস্ক এর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে এটি গাজায় আধুনিক চিকিৎসার একটি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরাইলের এই কর্মকাণ্ডকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। তাদের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে হাসপাতালের মতো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবতা পরিপন্থী।
এই ঘটনার পর তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, “এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। গাজার মানুষের প্রতি সহানুভূতির বদলে ইসরাইল নির্দয়তা ও ধ্বংসযজ্ঞের পথ বেছে নিচ্ছে।”
ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য চিকিৎসা ও শিক্ষা দুটোই একসাথে সরবরাহ করছিল যে প্রতিষ্ঠানটি, আজ সেটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত। গাজার মানবিক সংকট আরও গভীর হলো এই হামলার মাধ্যমে।