ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

শীর্ষ আদালতকে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা: “হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে দেশ বিপদে পড়বে”

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিচার বিভাগকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বিস্ফোরক পোস্টে তিনি সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আদালত যদি তার কাজে বাধা দেওয়া বন্ধ না করে, তবে দেশ গভীর সংকটে পড়বে।

গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এই পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “যদি প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ও সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত এই বিষাক্ত ও নজিরবিহীন পরিস্থিতির সমাধান না করেন, তাহলে আমেরিকা গুরুতর সমস্যার মুখে পড়বে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অভিবাসন নীতির ওপর সম্প্রতি সমালোচনা করেন ফেডারেল বিচারক জেমস বোসবার্গ। বিশেষ করে এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট ব্যবহার করে এল সালভাদরে গ্যাং সদস্যদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত আদালতের বাধার মুখে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদালতের হস্তক্ষেপকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করছি। কিন্তু কিছু বিচারকের পক্ষপাতমূলক আচরণ আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাধা।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে নতুন করে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলই নিয়মতান্ত্রিক পথ, অভিশংসন নয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রধান বিচারপতির এ ধরনের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বিরল। ট্রাম্পের বক্তব্য ও আদালতের পাল্টা বিবৃতি এখন রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটি শুধু আদালতের স্বাধীনতাই নয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যও এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের এমন প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ কিনা, তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবহ যে আরও উত্তপ্ত হলো, তা বলাই বাহুল্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ আদালতকে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা: “হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে দেশ বিপদে পড়বে”

আপডেট সময় ০৪:১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিচার বিভাগকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বিস্ফোরক পোস্টে তিনি সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আদালত যদি তার কাজে বাধা দেওয়া বন্ধ না করে, তবে দেশ গভীর সংকটে পড়বে।

গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এই পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “যদি প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ও সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত এই বিষাক্ত ও নজিরবিহীন পরিস্থিতির সমাধান না করেন, তাহলে আমেরিকা গুরুতর সমস্যার মুখে পড়বে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অভিবাসন নীতির ওপর সম্প্রতি সমালোচনা করেন ফেডারেল বিচারক জেমস বোসবার্গ। বিশেষ করে এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট ব্যবহার করে এল সালভাদরে গ্যাং সদস্যদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত আদালতের বাধার মুখে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদালতের হস্তক্ষেপকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করছি। কিন্তু কিছু বিচারকের পক্ষপাতমূলক আচরণ আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাধা।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে নতুন করে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলই নিয়মতান্ত্রিক পথ, অভিশংসন নয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রধান বিচারপতির এ ধরনের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বিরল। ট্রাম্পের বক্তব্য ও আদালতের পাল্টা বিবৃতি এখন রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটি শুধু আদালতের স্বাধীনতাই নয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যও এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের এমন প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ কিনা, তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবহ যে আরও উত্তপ্ত হলো, তা বলাই বাহুল্য।