ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

শীর্ষ আদালতকে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা: “হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে দেশ বিপদে পড়বে”

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 33

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিচার বিভাগকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বিস্ফোরক পোস্টে তিনি সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আদালত যদি তার কাজে বাধা দেওয়া বন্ধ না করে, তবে দেশ গভীর সংকটে পড়বে।

গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এই পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “যদি প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ও সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত এই বিষাক্ত ও নজিরবিহীন পরিস্থিতির সমাধান না করেন, তাহলে আমেরিকা গুরুতর সমস্যার মুখে পড়বে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অভিবাসন নীতির ওপর সম্প্রতি সমালোচনা করেন ফেডারেল বিচারক জেমস বোসবার্গ। বিশেষ করে এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট ব্যবহার করে এল সালভাদরে গ্যাং সদস্যদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত আদালতের বাধার মুখে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদালতের হস্তক্ষেপকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করছি। কিন্তু কিছু বিচারকের পক্ষপাতমূলক আচরণ আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাধা।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে নতুন করে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলই নিয়মতান্ত্রিক পথ, অভিশংসন নয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রধান বিচারপতির এ ধরনের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বিরল। ট্রাম্পের বক্তব্য ও আদালতের পাল্টা বিবৃতি এখন রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটি শুধু আদালতের স্বাধীনতাই নয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যও এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের এমন প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ কিনা, তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবহ যে আরও উত্তপ্ত হলো, তা বলাই বাহুল্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ আদালতকে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা: “হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে দেশ বিপদে পড়বে”

আপডেট সময় ০৪:১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিচার বিভাগকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বিস্ফোরক পোস্টে তিনি সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আদালত যদি তার কাজে বাধা দেওয়া বন্ধ না করে, তবে দেশ গভীর সংকটে পড়বে।

গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এই পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “যদি প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ও সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত এই বিষাক্ত ও নজিরবিহীন পরিস্থিতির সমাধান না করেন, তাহলে আমেরিকা গুরুতর সমস্যার মুখে পড়বে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অভিবাসন নীতির ওপর সম্প্রতি সমালোচনা করেন ফেডারেল বিচারক জেমস বোসবার্গ। বিশেষ করে এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট ব্যবহার করে এল সালভাদরে গ্যাং সদস্যদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত আদালতের বাধার মুখে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদালতের হস্তক্ষেপকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করছি। কিন্তু কিছু বিচারকের পক্ষপাতমূলক আচরণ আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাধা।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে নতুন করে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলই নিয়মতান্ত্রিক পথ, অভিশংসন নয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রধান বিচারপতির এ ধরনের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বিরল। ট্রাম্পের বক্তব্য ও আদালতের পাল্টা বিবৃতি এখন রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটি শুধু আদালতের স্বাধীনতাই নয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যও এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের এমন প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি আগাম নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ কিনা, তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবহ যে আরও উত্তপ্ত হলো, তা বলাই বাহুল্য।