ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, সম্পদের স্থানান্তর নিষিদ্ধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / ৫২১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম এই ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া, এই ব্যক্তিরা তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি অন্য কোনো উপায়ে হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তন করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়।

এর আগে, ১১ মার্চ আদালত শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাড়ি ‘সুধা সদন’সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

দুদকের মতে, এই অনুসন্ধান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজে বের করতে ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্পদ জব্দের এই আদেশ বহাল থাকবে।

এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেউ এটিকে বিচারিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মত প্রকাশ করছেন। তবে, দুদক জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী কাজ করছে এবং প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, সম্পদের স্থানান্তর নিষিদ্ধ

আপডেট সময় ১০:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম এই ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া, এই ব্যক্তিরা তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি অন্য কোনো উপায়ে হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তন করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়।

এর আগে, ১১ মার্চ আদালত শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাড়ি ‘সুধা সদন’সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

দুদকের মতে, এই অনুসন্ধান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজে বের করতে ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্পদ জব্দের এই আদেশ বহাল থাকবে।

এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেউ এটিকে বিচারিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মত প্রকাশ করছেন। তবে, দুদক জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী কাজ করছে এবং প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে।