যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত পদক্ষেপ: আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভেনেজুয়েলার শতাধিক নাগরিককে নির্বাসন

- আপডেট সময় ০৪:০৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
- / 22
যুক্তরাষ্ট্র আদালতের রায় উপেক্ষা করে দুই শতাধিক ভেনেজুয়েলার নাগরিককে এল সালভাদরে নির্বাসিত করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রবিবার সকালে একটি সামরিক বিমান তার দেশে অবতরণ করে, যাতে ছিল ২৩৮ জন ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’র সদস্য এবং ২৩ জন আন্তর্জাতিক গ্যাং এমএস-১৩এর সদস্য।
এই নির্বাসনের কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন একটি আদালত অবৈধ অভিবাসীদের জোরপূর্বক নির্বাসন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করেই যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নেয়। ফেডারেল বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ ১৭৯৮ সালের ‘অ্যালিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ প্রয়োগের মাধ্যমে এই নির্বাসন কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশ দিয়েছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই চুক্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নজিরবিহীন অভিবাসন ব্যবস্থা’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, নির্বাসিতদের এক বছরের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বন্দিশিবির সিইসিওটিতে রাখা হবে। তবে পরবর্তীতে এই সময়সীমা বাড়তে পারে।
নায়িব বুকেলে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এদের জন্য সামান্য পরিমাণ অর্থ দেবে, তবে আমাদের জন্য এটি বিশাল দায়িত্ব।” এদিকে, মার্কো রুবিও বুকেলের প্রশংসা করে বলেন, “তিনি আমাদের অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা।”
এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা। দেশটি একে ‘যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ করে অভিবাসীদের অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করার প্রচেষ্টা’ বলে বর্ণনা করেছে।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট বুকেলের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দিদের হাত-পা শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীর পাহারায় বিমান থেকে নামানো হচ্ছে। তাদের কিছু সংখ্যককে সাঁজোয়া যান এবং বাকিদের বাসে করে বন্দিশিবিরে নেওয়া হয়।
ভিডিওতে আলোচিত উচ্চ-নিরাপত্তার কারাগার সিইসিওটিতে বন্দিদের প্রবেশের দৃশ্যও দেখানো হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার বন্দির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই কারাগার বুকেলের অপরাধ দমন পরিকল্পনার প্রধান অংশ হলেও, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে বন্দিদের অমানবিক নির্যাতনের কেন্দ্র বলে সমালোচনা করেছে।