ইরানের পারমাণবিক আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে খামেনি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো চিঠি নাকচ করে দিয়েছেন। চিঠিতে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে বিরত রাখতে একটি চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল, যা ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করতে পারে বলে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন। তবে খামেনি বলেছেন, তিনি সেই চিঠি দেখেননি এবং তাতে আলোচনা করার কোনো উপকারিতা নেই।
এ বিষয়ে খামেনি মন্তব্য করেন, “যুক্তরাষ্ট্র আগের মতো চুক্তি ভঙ্গ করেছে, তাই এমন আলোচনার কোনো অর্থ নেই।” তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।” ইরানের সর্বোচ্চ নেতা পরিস্কার জানিয়ে দেন, তাঁর দেশ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে আগ্রহী নয়।
২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি সই হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তিটি বাতিল করে এবং ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চুক্তিটি ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখতে যথেষ্ট কার্যকরী হয়নি।
ট্রাম্প সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইরানকে মোকাবেলা করার দুটি উপায় রয়েছে সামরিক বা চুক্তির মাধ্যমে। আমি চুক্তি করতে চাই, কারণ আমি ইরানকে আঘাত করতে চাই না। তবে, যদি সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে এটি ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।” তবে হোয়াইট হাউস চিঠির বিস্তারিত জানায়নি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও হুমকি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা আমরা গ্রহণ করতে পারি না। ট্রাম্প, আপনি যা খুশি করতে পারেন, আমি আলোচনায় বসব না।”
এদিকে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) সতর্ক করেছে যে, ইরান বর্তমানে ৬০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের কাছাকাছি।
ইরান এখনও দাবি করে আসছে যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না, তবে চলমান পরিস্থিতি বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।