ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল মিছিল, রাজনীতির প্রতি হতাশ জনতা শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও আশা ছাড়ছে না আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি, ন্যায়বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ কারা অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর শাস্তি: চাকরিচ্যুত ১২, বরখাস্ত ৮৪ কর্মকর্তা পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন আইন আসছে শিগগিরই: প্রেস সচিব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ রাঙামাটিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ৫ দফা দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সমাবেশ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির

সৌদি আরবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ইউক্রেন প্রতিনিধির বৈঠক: যুদ্ধবিরতি আলোচনার সম্ভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এ আলোচনা আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে, এমনটি জানায় ভয়েস অব আমেরিকা ও বিবিসি।

অতিরিক্ত উত্তেজনার পর, ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে এই তর্ক-বিতর্ক চরমে পৌঁছায়, যার ফলে আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে পরবর্তীতে জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি জন্য তিনি অনুতপ্ত এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

এই পরিস্থিতির পর মার্কিন প্রশাসন, বিশেষ করে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি যুদ্ধবিরতি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সৌদিতে মার্কিন-ইউক্রেন বৈঠক, বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময় রাশিয়া নিয়ে কিছু নরম মনোভাব প্রকাশের পর এসেছে। ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি বিশ্বাস রাখার কথা জানিয়ে বলেন, পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা ইউক্রেনের চেয়ে অনেক সহজ হতে পারে।

এদিকে, ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি হতে পারেন, তবে মস্কো কিছু শর্তও রাখতে পারে। এই বিষয়টি ইউক্রেনের ওপর চাপ তৈরি করেছে, তবে জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন, সৌদিতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত।

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই আলোচনাগুলি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে এবং বিশ্ববাসীর নজর রাখার জন্য নতুন আশা জাগাতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:১৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ইউক্রেন প্রতিনিধির বৈঠক: যুদ্ধবিরতি আলোচনার সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০২:১৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এ আলোচনা আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে, এমনটি জানায় ভয়েস অব আমেরিকা ও বিবিসি।

অতিরিক্ত উত্তেজনার পর, ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে এই তর্ক-বিতর্ক চরমে পৌঁছায়, যার ফলে আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে পরবর্তীতে জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি জন্য তিনি অনুতপ্ত এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

এই পরিস্থিতির পর মার্কিন প্রশাসন, বিশেষ করে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি যুদ্ধবিরতি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সৌদিতে মার্কিন-ইউক্রেন বৈঠক, বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময় রাশিয়া নিয়ে কিছু নরম মনোভাব প্রকাশের পর এসেছে। ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি বিশ্বাস রাখার কথা জানিয়ে বলেন, পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা ইউক্রেনের চেয়ে অনেক সহজ হতে পারে।

এদিকে, ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি হতে পারেন, তবে মস্কো কিছু শর্তও রাখতে পারে। এই বিষয়টি ইউক্রেনের ওপর চাপ তৈরি করেছে, তবে জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন, সৌদিতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত।

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই আলোচনাগুলি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে এবং বিশ্ববাসীর নজর রাখার জন্য নতুন আশা জাগাতে পারে।