ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তান সীমান্তে ধরা পড়লো তুরস্কের শীর্ষ আইএস নেতা, ভেস্তে গেল বড় হামলার ছক শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি

সৌদি আরবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ইউক্রেন প্রতিনিধির বৈঠক: যুদ্ধবিরতি আলোচনার সম্ভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এ আলোচনা আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে, এমনটি জানায় ভয়েস অব আমেরিকা ও বিবিসি।

অতিরিক্ত উত্তেজনার পর, ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে এই তর্ক-বিতর্ক চরমে পৌঁছায়, যার ফলে আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে পরবর্তীতে জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি জন্য তিনি অনুতপ্ত এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

এই পরিস্থিতির পর মার্কিন প্রশাসন, বিশেষ করে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি যুদ্ধবিরতি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সৌদিতে মার্কিন-ইউক্রেন বৈঠক, বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময় রাশিয়া নিয়ে কিছু নরম মনোভাব প্রকাশের পর এসেছে। ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি বিশ্বাস রাখার কথা জানিয়ে বলেন, পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা ইউক্রেনের চেয়ে অনেক সহজ হতে পারে।

এদিকে, ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি হতে পারেন, তবে মস্কো কিছু শর্তও রাখতে পারে। এই বিষয়টি ইউক্রেনের ওপর চাপ তৈরি করেছে, তবে জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন, সৌদিতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত।

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই আলোচনাগুলি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে এবং বিশ্ববাসীর নজর রাখার জন্য নতুন আশা জাগাতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদি আরবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ইউক্রেন প্রতিনিধির বৈঠক: যুদ্ধবিরতি আলোচনার সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০২:১৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এ আলোচনা আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে, এমনটি জানায় ভয়েস অব আমেরিকা ও বিবিসি।

অতিরিক্ত উত্তেজনার পর, ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে এই তর্ক-বিতর্ক চরমে পৌঁছায়, যার ফলে আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে পরবর্তীতে জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি জন্য তিনি অনুতপ্ত এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

এই পরিস্থিতির পর মার্কিন প্রশাসন, বিশেষ করে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি যুদ্ধবিরতি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সৌদিতে মার্কিন-ইউক্রেন বৈঠক, বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময় রাশিয়া নিয়ে কিছু নরম মনোভাব প্রকাশের পর এসেছে। ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি বিশ্বাস রাখার কথা জানিয়ে বলেন, পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা ইউক্রেনের চেয়ে অনেক সহজ হতে পারে।

এদিকে, ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি হতে পারেন, তবে মস্কো কিছু শর্তও রাখতে পারে। এই বিষয়টি ইউক্রেনের ওপর চাপ তৈরি করেছে, তবে জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন, সৌদিতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত।

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই আলোচনাগুলি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে এবং বিশ্ববাসীর নজর রাখার জন্য নতুন আশা জাগাতে পারে।