ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র বার্তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / 38

ছবি:সংগৃহীত

 

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে এক শক্তিশালী বাণিজ্যযুদ্ধের আভাস দেখা দিয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পর চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত এবং চীনের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতির কথা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গত বছর রাশিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, “ক্ষমতার রাজনীতির বিরুদ্ধে এই দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে”। যদিও ওয়াং ই সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম নেননি, তবে তার বক্তব্যে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি পরোক্ষভাবে একটি শক্তিশালী বার্তা ছিল।

ওয়াং ই আরও জানান, “চীন ও ভারতকে একসঙ্গে কাজ করে বিশ্বব্যাপী আধিপত্যবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে”। তিনি শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে ‘হাতি’ এবং ‘ড্রাগন’-এর মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। “ড্রাগন এবং হাতির সহযোগিতার সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না বলে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে, তাতে লাভ হবে দুই দেশেরই”।

এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপে চীন প্রথমে বিরোধিতা করে এবং পরবর্তীতে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাস সম্প্রতি এক বার্তায় জানায়, “যদি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায়, তা হোক বাণিজ্যযুদ্ধ বা অন্য কোনো যুদ্ধ, আমরা প্রস্তুত আছি”। পেন্টাগনও তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে, ওয়াং ই ভারত ও চীনের সম্পর্কের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী দিনে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করলে তার ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। “এশিয়ার দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি একসঙ্গে কাজ করলে তা সারা বিশ্বের জন্য লাভজনক হবে”।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র বার্তা

আপডেট সময় ০২:২৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

 

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে এক শক্তিশালী বাণিজ্যযুদ্ধের আভাস দেখা দিয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পর চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত এবং চীনের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতির কথা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গত বছর রাশিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, “ক্ষমতার রাজনীতির বিরুদ্ধে এই দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে”। যদিও ওয়াং ই সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম নেননি, তবে তার বক্তব্যে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি পরোক্ষভাবে একটি শক্তিশালী বার্তা ছিল।

ওয়াং ই আরও জানান, “চীন ও ভারতকে একসঙ্গে কাজ করে বিশ্বব্যাপী আধিপত্যবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে”। তিনি শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে ‘হাতি’ এবং ‘ড্রাগন’-এর মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। “ড্রাগন এবং হাতির সহযোগিতার সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না বলে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে, তাতে লাভ হবে দুই দেশেরই”।

এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপে চীন প্রথমে বিরোধিতা করে এবং পরবর্তীতে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাস সম্প্রতি এক বার্তায় জানায়, “যদি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায়, তা হোক বাণিজ্যযুদ্ধ বা অন্য কোনো যুদ্ধ, আমরা প্রস্তুত আছি”। পেন্টাগনও তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে, ওয়াং ই ভারত ও চীনের সম্পর্কের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী দিনে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করলে তার ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। “এশিয়ার দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি একসঙ্গে কাজ করলে তা সারা বিশ্বের জন্য লাভজনক হবে”।