গাজায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনি নিহত, উদ্ধার হল ৬ লাশ

- আপডেট সময় ১১:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
- / 39
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও, ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই গাজায় হামলা চালাচ্ছে, যা হতাহতের ঘটনার কারণ হচ্ছে।
গাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ফলে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৪৫০ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তাসংস্থাটি জানায়, বৃহস্পতিবার গাজার সিটিতে একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অপর একজন গুরুতর আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুজাইয়া পাড়ার পূর্ব অংশে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে একটি ইসরায়েলি ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের খবর জানিয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৪৪৬ জনে পৌঁছেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজন আহত ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আহতের মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৮৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানালেও, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।