১০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে মোদি সরকারের ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি: সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যানিলোভিজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / 71

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপস্টেটের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিজ। তার মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী।

বুধবার (৫ মার্চ) কসমস ফাউন্ডেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাইট টু ফ্রিডমের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড্যানিলোভিজ। আলোচনা সভার বিষয় ছিল “জুলাই বিপ্লবের আগে ও পরে মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকা”। ড্যানিলোভিজ, যিনি ২০০৭ সালে এক এগারো সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এই বিশ্বাসে অবিচল। তবে, এ ধরনের ঘটনাবলীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপস্টেটের কোনো সংযোগ নেই।”

বিজ্ঞাপন

এ সময় তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নতির পথ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, “গণতন্ত্র সুসংহত করতে এখানে কাজের সুযোগ রয়েছে, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক কৌশলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।”

এদিকে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনকালে দায়িত্ব পালনকারী আরেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামও এই বিষয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনার সময় কিছু রাজনৈতিক সহিংসতা হলেও, দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল।

এছাড়া, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলে মার্কিন ‘ডিপস্টেট’-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে, ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে ঘটমান ঘটনাবলীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই।

এই মন্তব্যগুলোর মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন বা উত্থানে তাদের কোনো অগ্রসর ভূমিকা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে মোদি সরকারের ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি: সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যানিলোভিজ

আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপস্টেটের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিজ। তার মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী।

বুধবার (৫ মার্চ) কসমস ফাউন্ডেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাইট টু ফ্রিডমের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড্যানিলোভিজ। আলোচনা সভার বিষয় ছিল “জুলাই বিপ্লবের আগে ও পরে মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকা”। ড্যানিলোভিজ, যিনি ২০০৭ সালে এক এগারো সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এই বিশ্বাসে অবিচল। তবে, এ ধরনের ঘটনাবলীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপস্টেটের কোনো সংযোগ নেই।”

বিজ্ঞাপন

এ সময় তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নতির পথ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, “গণতন্ত্র সুসংহত করতে এখানে কাজের সুযোগ রয়েছে, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক কৌশলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।”

এদিকে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনকালে দায়িত্ব পালনকারী আরেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামও এই বিষয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনার সময় কিছু রাজনৈতিক সহিংসতা হলেও, দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল।

এছাড়া, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলে মার্কিন ‘ডিপস্টেট’-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে, ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে ঘটমান ঘটনাবলীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই।

এই মন্তব্যগুলোর মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন বা উত্থানে তাদের কোনো অগ্রসর ভূমিকা নেই।