ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে মোদি সরকারের ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি: সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যানিলোভিজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / 38

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপস্টেটের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিজ। তার মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী।

বুধবার (৫ মার্চ) কসমস ফাউন্ডেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাইট টু ফ্রিডমের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড্যানিলোভিজ। আলোচনা সভার বিষয় ছিল “জুলাই বিপ্লবের আগে ও পরে মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকা”। ড্যানিলোভিজ, যিনি ২০০৭ সালে এক এগারো সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এই বিশ্বাসে অবিচল। তবে, এ ধরনের ঘটনাবলীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপস্টেটের কোনো সংযোগ নেই।”

এ সময় তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নতির পথ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, “গণতন্ত্র সুসংহত করতে এখানে কাজের সুযোগ রয়েছে, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক কৌশলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।”

এদিকে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনকালে দায়িত্ব পালনকারী আরেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামও এই বিষয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনার সময় কিছু রাজনৈতিক সহিংসতা হলেও, দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল।

এছাড়া, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলে মার্কিন ‘ডিপস্টেট’-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে, ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে ঘটমান ঘটনাবলীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই।

এই মন্তব্যগুলোর মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন বা উত্থানে তাদের কোনো অগ্রসর ভূমিকা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে মোদি সরকারের ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি: সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যানিলোভিজ

আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপস্টেটের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিজ। তার মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী।

বুধবার (৫ মার্চ) কসমস ফাউন্ডেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাইট টু ফ্রিডমের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড্যানিলোভিজ। আলোচনা সভার বিষয় ছিল “জুলাই বিপ্লবের আগে ও পরে মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকা”। ড্যানিলোভিজ, যিনি ২০০৭ সালে এক এগারো সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এই বিশ্বাসে অবিচল। তবে, এ ধরনের ঘটনাবলীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপস্টেটের কোনো সংযোগ নেই।”

এ সময় তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নতির পথ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, “গণতন্ত্র সুসংহত করতে এখানে কাজের সুযোগ রয়েছে, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক কৌশলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।”

এদিকে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনকালে দায়িত্ব পালনকারী আরেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামও এই বিষয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনার সময় কিছু রাজনৈতিক সহিংসতা হলেও, দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল।

এছাড়া, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলে মার্কিন ‘ডিপস্টেট’-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে, ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে ঘটমান ঘটনাবলীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই।

এই মন্তব্যগুলোর মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন বা উত্থানে তাদের কোনো অগ্রসর ভূমিকা নেই।