ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ইউরোপের নতুন সামরিক শক্তি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার অস্ত্র হাতে নেওয়ার ঘোষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 24

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপ ঘোষণা করেছে যে, তারা আবারও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে অস্ত্র হাতে নেবে। ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেয়েন এক প্রবন্ধে বলেন, “ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে, এবং এর জন্য ৮০০ বিলিয়ন ইউরো সামরিক খাতে ব্যয় করতে হবে।”

ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব বর্তমানে এক গভীর সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় ইউরোপকে একত্রিত হয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অস্ত্র হাতে নেওয়ার সময় এসেছে।”

এই ঘোষণার মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেদের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে একটি বড় সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ইউরোপের প্রতিরক্ষা নীতিতে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনতে পারে।

ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা করেছে যে, নতুন সামরিক পরিকল্পনার আওতায় ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হবে। এর পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি, সামরিক শিল্প ও অস্ত্র উৎপাদনে বিনিয়োগ এবং ইউরোপীয় সেনাদের যুদ্ধের জন্য আরও দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ বিশ্বের শক্তির ভারসাম্যে একটি নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউরোপের সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া এই সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর মনোযোগ দিচ্ছে। ইউরোপের এই নতুন সামরিক নীতি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, যা বিশ্ব নিরাপত্তার নতুন চিত্র সৃষ্টি করবে।

বিশ্বের বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইউরোপের এই পদক্ষেপকে একটি বড় সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা সামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে ইউরোপের শক্তি বৃদ্ধি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউরোপের নতুন সামরিক শক্তি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার অস্ত্র হাতে নেওয়ার ঘোষণা

আপডেট সময় ১২:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপ ঘোষণা করেছে যে, তারা আবারও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে অস্ত্র হাতে নেবে। ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেয়েন এক প্রবন্ধে বলেন, “ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে, এবং এর জন্য ৮০০ বিলিয়ন ইউরো সামরিক খাতে ব্যয় করতে হবে।”

ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব বর্তমানে এক গভীর সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় ইউরোপকে একত্রিত হয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অস্ত্র হাতে নেওয়ার সময় এসেছে।”

এই ঘোষণার মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেদের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে একটি বড় সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ইউরোপের প্রতিরক্ষা নীতিতে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনতে পারে।

ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা করেছে যে, নতুন সামরিক পরিকল্পনার আওতায় ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হবে। এর পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি, সামরিক শিল্প ও অস্ত্র উৎপাদনে বিনিয়োগ এবং ইউরোপীয় সেনাদের যুদ্ধের জন্য আরও দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ বিশ্বের শক্তির ভারসাম্যে একটি নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউরোপের সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া এই সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর মনোযোগ দিচ্ছে। ইউরোপের এই নতুন সামরিক নীতি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, যা বিশ্ব নিরাপত্তার নতুন চিত্র সৃষ্টি করবে।

বিশ্বের বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইউরোপের এই পদক্ষেপকে একটি বড় সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা সামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে ইউরোপের শক্তি বৃদ্ধি করবে।