০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা ইসরাইলের : যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, কারণ হামাস এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণে সম্মতি দেয়নি। এরই মধ্যে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, হামাসের অস্বীকৃতির কারণে গাজায় পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, হামাস যদি তাদের সিদ্ধান্ত বদল না করে, তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, হামাসের মুখপাত্র এই পদক্ষেপকে ‘নোংরা ব্ল্যাকমেইল’ বলে অভিহিত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে। তিনি বলেন, “আমাদের জনগণকে অনাহারে রাখা বন্ধ করতে বিশ্বকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

গতকাল গভীর রাতে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, মুসলিমদের রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার উপলক্ষে তারা যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাজি হয়েছে। তবে এই সময়ের পরও যদি চুক্তি না হয়, তাহলে তারা আবার সামরিক অভিযান শুরু করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা বেঁচে থাকা ও মৃত জিম্মিদের একটি অংশ মুক্তির মাধ্যমে শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা আগের আলোচনার ভিত্তিতেই চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ চায়, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।

১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির আওতায় ৩৩ ইসরায়েলি ও পাঁচ থাই নাগরিক মুক্তি পায়, যার বিনিময়ে প্রায় ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কার্যকরভাবে শুরু হয়নি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা চালায়, যাতে অন্তত ৪৮,৩৬৫ জন নিহত হয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা ইসরাইলের : যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

আপডেট সময় ০৭:২১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

 

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, কারণ হামাস এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণে সম্মতি দেয়নি। এরই মধ্যে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, হামাসের অস্বীকৃতির কারণে গাজায় পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, হামাস যদি তাদের সিদ্ধান্ত বদল না করে, তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, হামাসের মুখপাত্র এই পদক্ষেপকে ‘নোংরা ব্ল্যাকমেইল’ বলে অভিহিত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে। তিনি বলেন, “আমাদের জনগণকে অনাহারে রাখা বন্ধ করতে বিশ্বকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

গতকাল গভীর রাতে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, মুসলিমদের রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার উপলক্ষে তারা যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাজি হয়েছে। তবে এই সময়ের পরও যদি চুক্তি না হয়, তাহলে তারা আবার সামরিক অভিযান শুরু করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা বেঁচে থাকা ও মৃত জিম্মিদের একটি অংশ মুক্তির মাধ্যমে শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা আগের আলোচনার ভিত্তিতেই চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ চায়, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।

১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির আওতায় ৩৩ ইসরায়েলি ও পাঁচ থাই নাগরিক মুক্তি পায়, যার বিনিময়ে প্রায় ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কার্যকরভাবে শুরু হয়নি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা চালায়, যাতে অন্তত ৪৮,৩৬৫ জন নিহত হয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।