ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

রাশিয়াবিরোধী প্রস্তাবে ভোট দিয়ে ভুল! ক্ষমা চাইলেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 32

ছবি: সংগৃহীত

 

জাতিসংঘে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আনা এক প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচ। দেশটির ঐতিহ্যগত রুশপ্রীতির বিপরীতে গিয়ে এই ভোট দেওয়াকে ‘ভুল’ স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত ওই ভোটে সার্বিয়া ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছিল, যা কার্যত রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার শামিল। কিন্তু এরপরই দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রুশপন্থী জনগণের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে প্রেসিডেন্ট ভুচিচ বলেন, ‘আমি মনে করি, সার্বিয়া ভুল করেছে। আমি জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। আমিও ভুল করেছি।’

তবে সার্বিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ভুলিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি এটিকে ভুল বলে মনে করি না। কারণ, একজন প্রকৃত সার্ব কখনো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আগে দুইবার ভাববে।’ তার এই বক্তব্য দেশটির রাজনৈতিক বিভক্তির ইঙ্গিত বহন করে।

বিশ্লেষকদের মতে, সার্বিয়ার দীর্ঘদিনের রুশ ঘনিষ্ঠতার পেছনে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। সোভিয়েত যুগে সার্বিয়া ছিল কমিউনিজমের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি এবং যুগোস্লাভিয়ার অংশ হিসেবে মস্কোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। যদিও বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে সার্বিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তবুও রাশিয়ার সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক মৈত্রী সহজে ভাঙার নয়।

জাতিসংঘে সার্বিয়ার এই অবস্থান দেশটির ভবিষ্যৎ কূটনীতির দিক কোন পথে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। একদিকে পশ্চিমা জোটের চাপ, অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতি ঐতিহ্যগত আনুগত্য—এই দুই অবস্থানের মাঝখানে পড়ে প্রেসিডেন্ট ভুচিচ এখন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশিয়াবিরোধী প্রস্তাবে ভোট দিয়ে ভুল! ক্ষমা চাইলেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় ০৫:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

জাতিসংঘে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আনা এক প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচ। দেশটির ঐতিহ্যগত রুশপ্রীতির বিপরীতে গিয়ে এই ভোট দেওয়াকে ‘ভুল’ স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত ওই ভোটে সার্বিয়া ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছিল, যা কার্যত রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার শামিল। কিন্তু এরপরই দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রুশপন্থী জনগণের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে প্রেসিডেন্ট ভুচিচ বলেন, ‘আমি মনে করি, সার্বিয়া ভুল করেছে। আমি জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। আমিও ভুল করেছি।’

তবে সার্বিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ভুলিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি এটিকে ভুল বলে মনে করি না। কারণ, একজন প্রকৃত সার্ব কখনো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আগে দুইবার ভাববে।’ তার এই বক্তব্য দেশটির রাজনৈতিক বিভক্তির ইঙ্গিত বহন করে।

বিশ্লেষকদের মতে, সার্বিয়ার দীর্ঘদিনের রুশ ঘনিষ্ঠতার পেছনে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। সোভিয়েত যুগে সার্বিয়া ছিল কমিউনিজমের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি এবং যুগোস্লাভিয়ার অংশ হিসেবে মস্কোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। যদিও বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে সার্বিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তবুও রাশিয়ার সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক মৈত্রী সহজে ভাঙার নয়।

জাতিসংঘে সার্বিয়ার এই অবস্থান দেশটির ভবিষ্যৎ কূটনীতির দিক কোন পথে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। একদিকে পশ্চিমা জোটের চাপ, অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতি ঐতিহ্যগত আনুগত্য—এই দুই অবস্থানের মাঝখানে পড়ে প্রেসিডেন্ট ভুচিচ এখন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি।