ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে সশস্ত্র বাহিনী শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত পুতিনের
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের তৃতীয় বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তার দেশের সেনারা জীবন বাজি রেখে জাতীয় স্বার্থ ও রাশিয়ার ভবিষ্যৎ রক্ষায় লড়াই করছে। রবিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি রুশ সেনাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন এবং সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় পুতিন বলেন, “আমাদের সেনারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে মাতৃভূমির জন্য লড়াই করছে। রাশিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল অপরিবর্তিত থাকবে।”
পুতিনের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়া সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগী। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় উভয় পক্ষের ওপরই চাপ বাড়ছে, আর পশ্চিমা সাহায্যের ধারাবাহিকতা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক চমকপ্রদ দাবি করেছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং চলমান যুদ্ধের দ্রুত সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য হিল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারে। তার দাবি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার জন্য তার নেতৃত্বাধীন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সফল হতে পারে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার অবস্থান এখনো কঠোর এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আলোচনার ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান নেই বলে ট্রাম্পের মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে পুতিনের হুঁশিয়ারি ও ট্রাম্পের আশাবাদের মাঝে কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।