ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ
আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘে ইউক্রেনের প্রস্তাব প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, কূটনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা জাতিসংঘ প্রস্তাব প্রত্যাহারে ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি কিয়েভকে প্রস্তাবটি তুলে নিতে উৎসাহিত করছে, যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এই প্রস্তাবটি মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়। এতে রাশিয়াকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করা হয়েছে এবং অবিলম্বে তাদের সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে, ওয়াশিংটন স্পষ্ট করেছে যে তারা এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেবে।

প্রস্তাবটিকে ১০০টিরও বেশি দেশ সমর্থন জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে প্রস্তাব প্রত্যাহারে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ওয়াশিংটনের এ ধরনের অবস্থান নিয়ে ইউরোপীয় কূটনীতিকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। এক কূটনীতিক মন্তব্য করেছেন, “এটি মস্কোর কাছে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বর অবস্থান দুর্বল করবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের এই কৌশল দুইটি কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রথমত, মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে চাইছে, বিশেষ করে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের আগে। দ্বিতীয়ত, তারা ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ও পশ্চিমা জোটের মধ্যে বিভাজন এড়াতে চাইছে।

তবে ইউক্রেন এখনও তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। কিয়েভের কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রস্তাব বিশ্ববাসীর সামনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তারা বিশ্বাস করে, এটি প্রত্যাহার করা হলে রাশিয়াকে আরও সুযোগ দেওয়া হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্ত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।

কূটনৈতিক মহলে এ বিষয়টি এখন তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেন কি ওয়াশিংটনের চাপে নতি স্বীকার করবে, নাকি তার অবস্থান বজায় রাখবে এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘে ইউক্রেনের প্রস্তাব প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, কূটনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক

আপডেট সময় ১১:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা জাতিসংঘ প্রস্তাব প্রত্যাহারে ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি কিয়েভকে প্রস্তাবটি তুলে নিতে উৎসাহিত করছে, যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এই প্রস্তাবটি মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়। এতে রাশিয়াকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করা হয়েছে এবং অবিলম্বে তাদের সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে, ওয়াশিংটন স্পষ্ট করেছে যে তারা এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেবে।

প্রস্তাবটিকে ১০০টিরও বেশি দেশ সমর্থন জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে প্রস্তাব প্রত্যাহারে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ওয়াশিংটনের এ ধরনের অবস্থান নিয়ে ইউরোপীয় কূটনীতিকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। এক কূটনীতিক মন্তব্য করেছেন, “এটি মস্কোর কাছে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বর অবস্থান দুর্বল করবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের এই কৌশল দুইটি কারণের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রথমত, মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে চাইছে, বিশেষ করে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের আগে। দ্বিতীয়ত, তারা ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ও পশ্চিমা জোটের মধ্যে বিভাজন এড়াতে চাইছে।

তবে ইউক্রেন এখনও তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। কিয়েভের কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রস্তাব বিশ্ববাসীর সামনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তারা বিশ্বাস করে, এটি প্রত্যাহার করা হলে রাশিয়াকে আরও সুযোগ দেওয়া হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্ত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।

কূটনৈতিক মহলে এ বিষয়টি এখন তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেন কি ওয়াশিংটনের চাপে নতি স্বীকার করবে, নাকি তার অবস্থান বজায় রাখবে এটাই এখন বড় প্রশ্ন।