ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া তাসমান সাগরে চীনের সামরিক মহড়া, উড়োজাহাজের রুট পরিবর্তন ক্রিপ্টো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হ্যাক: Bybit থেকে উধাও ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার! রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি, সড়ক অবরোধ পেরুর শপিং সেন্টারে ফুড কোর্টের ছাদ ধসে নিহত ৩, আহত ৭৪ সুনামগঞ্জে শিরনি নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ, ৩০ জন আহত পরিবেশ রক্ষাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা সুযোগ পেলে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বিএনপি: তারেক রহমান তেঁতুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও চেনার উপায় ডিপিএলে ২০২৫ মৌসুমে নাম তুললেন সাকিব, তবে কি দেশে ফেরার ইঙ্গিত?

প্রেমের ফাঁদে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটির গোপন তথ্য হাতিয়ে নিল পাকিস্তান আইএসআই

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি, ‘আইএনএস কদম্ব’, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র হাতে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের এক নারী সদস্যের মাধ্যমে দুই ভারতীয় ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে তারা।

উল্লেখযোগ্য যে, ‘আইএনএস কদম্ব’ ভারতের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১১ হাজার একর জমির উপর এই নৌঘাঁটি বিস্তৃত। এটি বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি হলেও, সম্প্রসারণ কাজ শেষে এটি পূর্ব গোলার্ধের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি হবে।

এই ঘাঁটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত, যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক কৌশলগত ভূমিকা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা নাফিসা জান্নাত ২০২৩ সাল থেকে ওই দুই ভারতীয় ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এভাবে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই দুই কর্মীকে আইএনএস কদম্বের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও, নথি এবং ভবনের নকশা সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে প্রদান করত। আট মাস ধরে অর্থের মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জন করার পর, তথ্য পাচার হয় পাকিস্তানে। এর মাধ্যমে, ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, জাহাজের টহল পথে থাকা, অপারেশনাল স্থিতি এবং অন্যান্য সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য আইএসআই’র হাতে পৌঁছেছে।

গত বছরও ভারতের বিশাখাপাটনাম নৌঘাঁটিতে একই ধরনের হানি ট্র্যাপের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

প্রেমের ফাঁদে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটির গোপন তথ্য হাতিয়ে নিল পাকিস্তান আইএসআই

আপডেট সময় ০১:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি, ‘আইএনএস কদম্ব’, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র হাতে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের এক নারী সদস্যের মাধ্যমে দুই ভারতীয় ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে তারা।

উল্লেখযোগ্য যে, ‘আইএনএস কদম্ব’ ভারতের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১১ হাজার একর জমির উপর এই নৌঘাঁটি বিস্তৃত। এটি বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি হলেও, সম্প্রসারণ কাজ শেষে এটি পূর্ব গোলার্ধের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি হবে।

এই ঘাঁটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত, যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক কৌশলগত ভূমিকা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা নাফিসা জান্নাত ২০২৩ সাল থেকে ওই দুই ভারতীয় ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এভাবে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই দুই কর্মীকে আইএনএস কদম্বের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও, নথি এবং ভবনের নকশা সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে প্রদান করত। আট মাস ধরে অর্থের মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জন করার পর, তথ্য পাচার হয় পাকিস্তানে। এর মাধ্যমে, ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, জাহাজের টহল পথে থাকা, অপারেশনাল স্থিতি এবং অন্যান্য সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য আইএসআই’র হাতে পৌঁছেছে।

গত বছরও ভারতের বিশাখাপাটনাম নৌঘাঁটিতে একই ধরনের হানি ট্র্যাপের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে।