ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ভারতে করোনার ভয়ংকর রূপ: ভারত ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ তিন এআই-এর লুকানো কথাবার্তা: বীপ-টোনের গোপন ভাষা! ইসরায়েল মাদলিন জাহাজ দখল করল: এরপর কী হবে? যুক্তরাজ্যে চার দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সচিবালয় ও যমুনা বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা ডিএমপির হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন” বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ

প্রেমের ফাঁদে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটির গোপন তথ্য হাতিয়ে নিল পাকিস্তান আইএসআই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি, ‘আইএনএস কদম্ব’, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র হাতে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের এক নারী সদস্যের মাধ্যমে দুই ভারতীয় ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে তারা।

উল্লেখযোগ্য যে, ‘আইএনএস কদম্ব’ ভারতের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১১ হাজার একর জমির উপর এই নৌঘাঁটি বিস্তৃত। এটি বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি হলেও, সম্প্রসারণ কাজ শেষে এটি পূর্ব গোলার্ধের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি হবে।

এই ঘাঁটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত, যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক কৌশলগত ভূমিকা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা নাফিসা জান্নাত ২০২৩ সাল থেকে ওই দুই ভারতীয় ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এভাবে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই দুই কর্মীকে আইএনএস কদম্বের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও, নথি এবং ভবনের নকশা সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে প্রদান করত। আট মাস ধরে অর্থের মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জন করার পর, তথ্য পাচার হয় পাকিস্তানে। এর মাধ্যমে, ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, জাহাজের টহল পথে থাকা, অপারেশনাল স্থিতি এবং অন্যান্য সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য আইএসআই’র হাতে পৌঁছেছে।

গত বছরও ভারতের বিশাখাপাটনাম নৌঘাঁটিতে একই ধরনের হানি ট্র্যাপের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রেমের ফাঁদে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটির গোপন তথ্য হাতিয়ে নিল পাকিস্তান আইএসআই

আপডেট সময় ০১:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি, ‘আইএনএস কদম্ব’, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র হাতে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের এক নারী সদস্যের মাধ্যমে দুই ভারতীয় ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে তারা।

উল্লেখযোগ্য যে, ‘আইএনএস কদম্ব’ ভারতের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১১ হাজার একর জমির উপর এই নৌঘাঁটি বিস্তৃত। এটি বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি হলেও, সম্প্রসারণ কাজ শেষে এটি পূর্ব গোলার্ধের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি হবে।

এই ঘাঁটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত, যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক কৌশলগত ভূমিকা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা নাফিসা জান্নাত ২০২৩ সাল থেকে ওই দুই ভারতীয় ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এভাবে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই দুই কর্মীকে আইএনএস কদম্বের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও, নথি এবং ভবনের নকশা সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে প্রদান করত। আট মাস ধরে অর্থের মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জন করার পর, তথ্য পাচার হয় পাকিস্তানে। এর মাধ্যমে, ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, জাহাজের টহল পথে থাকা, অপারেশনাল স্থিতি এবং অন্যান্য সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য আইএসআই’র হাতে পৌঁছেছে।

গত বছরও ভারতের বিশাখাপাটনাম নৌঘাঁটিতে একই ধরনের হানি ট্র্যাপের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে।