ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

সৌদি সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই সাক্ষাৎয়ের ঘোষণা ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 60

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে “খুব শিগগিরই” বৈঠক করতে পারেন। ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা বর্তমানে সৌদি আরবে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “কোনও নির্দিষ্ট সময় ঠিক হয়নি, তবে বৈঠক শিগগিরই হতে পারে।” এ মাসেই বৈঠক হতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা দেখব কী হয়।”

এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, যেখানে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে। রুবিও বলেন, “একটি ফোন কল যুদ্ধ থামাতে পারে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হবে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলী নির্ধারণ করবে আলোচনাটি কতটা গুরুত্ব বহন করবে।”

এদিকে, ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার উদ্যোগ এবং সৌদিতে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনায় ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের অন্তর্ভুক্ত না করায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ প্যারিসে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করছেন।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেন, “আমি এটা হালকাভাবে বলছি না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা সম্ভাব্য সংঘাত থেকে আমাদের সেনাদের রক্ষা করবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদিতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা যদি ইউক্রেনকে বাইরে রেখে পরিচালিত হয়, তবে তা যুদ্ধ সমাপ্তির পরিবর্তে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের ভূমিকা কীভাবে নির্ধারিত হবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদি সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই সাক্ষাৎয়ের ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেট সময় ০৫:৩৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে “খুব শিগগিরই” বৈঠক করতে পারেন। ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা বর্তমানে সৌদি আরবে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “কোনও নির্দিষ্ট সময় ঠিক হয়নি, তবে বৈঠক শিগগিরই হতে পারে।” এ মাসেই বৈঠক হতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা দেখব কী হয়।”

এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, যেখানে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে। রুবিও বলেন, “একটি ফোন কল যুদ্ধ থামাতে পারে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হবে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলী নির্ধারণ করবে আলোচনাটি কতটা গুরুত্ব বহন করবে।”

এদিকে, ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার উদ্যোগ এবং সৌদিতে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনায় ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের অন্তর্ভুক্ত না করায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ প্যারিসে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করছেন।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেন, “আমি এটা হালকাভাবে বলছি না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা সম্ভাব্য সংঘাত থেকে আমাদের সেনাদের রক্ষা করবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদিতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা যদি ইউক্রেনকে বাইরে রেখে পরিচালিত হয়, তবে তা যুদ্ধ সমাপ্তির পরিবর্তে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের ভূমিকা কীভাবে নির্ধারিত হবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।