০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা: ইসরায়েলে পৌঁছালো যুক্তরাষ্ট্রের ভারী বোমার চালান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 66

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বিধ্বংসী এমকে-৮৪ বোমার একটি চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরই এই চালান সেখানে পৌঁছায়। চলতি মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম।

বিজ্ঞাপন

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে। ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হওয়া গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমকে-৮৪ অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা, যা পুরু কংক্রিট ও ধাতু ভেদ করতে সক্ষম। ঘনবসতিপূর্ণ গাজা এলাকায় এই বোমার ব্যবহার মারাত্মক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে। এ কারণেই বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে এই বোমার সরবরাহ স্থগিত রেখেছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বদলের ফলে আবারও ইসরায়েলে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র পাঠানো হলো।

এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। মধ্যপ্রাচ্যে এটি তার প্রথম কূটনৈতিক সফর। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প সম্প্রতি গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটি বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে রুবিও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নির্মূল করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “হামাস কোনো সামরিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা: ইসরায়েলে পৌঁছালো যুক্তরাষ্ট্রের ভারী বোমার চালান

আপডেট সময় ১০:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বিধ্বংসী এমকে-৮৪ বোমার একটি চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরই এই চালান সেখানে পৌঁছায়। চলতি মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম।

বিজ্ঞাপন

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে। ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হওয়া গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমকে-৮৪ অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা, যা পুরু কংক্রিট ও ধাতু ভেদ করতে সক্ষম। ঘনবসতিপূর্ণ গাজা এলাকায় এই বোমার ব্যবহার মারাত্মক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে। এ কারণেই বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে এই বোমার সরবরাহ স্থগিত রেখেছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বদলের ফলে আবারও ইসরায়েলে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্র পাঠানো হলো।

এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। মধ্যপ্রাচ্যে এটি তার প্রথম কূটনৈতিক সফর। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প সম্প্রতি গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটি বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে রুবিও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নির্মূল করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “হামাস কোনো সামরিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না।”