ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুবাইয়ে শ্রমিক নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহারের আশা: প্রেস সচিব নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও অন্যান্য ৮ আসামির খালাস আমাদের শত্রু অনেক, মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রয়োজন: মাহফুজ আলম ইউক্রেনে সেনা পাঠালে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে যুক্তরাজ্য ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর, বায়ুদূষণের চরম বিপর্যয় তুরস্ক হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানের আদর্শ মাধ্যম: এরদোয়ান দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১২টি আধুনিক জাহাজ কিনছে বাংলাদেশ নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় আজ: আদালতের দিকে সবার নজর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথে: রিয়াদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রোমাঞ্চ শুরু: উদ্বোধনী ম্যাচে আজ মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদির নেতৃত্বে বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করছে আরব দেশগুলো

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা অঞ্চল নিয়ে পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলো একটি নতুন বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবনায় গাজা অঞ্চলের পুনর্গঠন এবং উন্নয়ন লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করা এবং গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দৃঢ় করার পরিকল্পনা ছিল। তবে, তার এই পরিকল্পনাটি বহুবার বিতর্কের মুখে পড়েছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে তার অবস্থানকে কেন্দ্র করে।

সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশগুলো ট্রাম্পের পরিকল্পনা বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই প্রস্তাবে, তারা আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গাজা অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

সৌদি আরবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তারা আরব শান্তি পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে, যাতে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদির নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মহলে শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে। অনেকের মতে, এই নতুন প্রস্তাব ট্রাম্পের পরিকল্পনার তুলনায় অধিক গ্রহণযোগ্য এবং ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘমেয়াদী অধিকার রক্ষায় সহায়ক হবে।

এদিকে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা কিছু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমর্থন পেলেও আন্তর্জাতিক মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আগামী দিনগুলোতে এই ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক উত্তরণ ঘটতে পারে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১৪ বার পড়া হয়েছে

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদির নেতৃত্বে বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করছে আরব দেশগুলো

আপডেট সময় ১১:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা অঞ্চল নিয়ে পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলো একটি নতুন বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবনায় গাজা অঞ্চলের পুনর্গঠন এবং উন্নয়ন লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করা এবং গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দৃঢ় করার পরিকল্পনা ছিল। তবে, তার এই পরিকল্পনাটি বহুবার বিতর্কের মুখে পড়েছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে তার অবস্থানকে কেন্দ্র করে।

সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশগুলো ট্রাম্পের পরিকল্পনা বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই প্রস্তাবে, তারা আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গাজা অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

সৌদি আরবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তারা আরব শান্তি পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে, যাতে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদির নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মহলে শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে। অনেকের মতে, এই নতুন প্রস্তাব ট্রাম্পের পরিকল্পনার তুলনায় অধিক গ্রহণযোগ্য এবং ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘমেয়াদী অধিকার রক্ষায় সহায়ক হবে।

এদিকে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা কিছু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমর্থন পেলেও আন্তর্জাতিক মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আগামী দিনগুলোতে এই ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক উত্তরণ ঘটতে পারে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।