ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদির নেতৃত্বে বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করছে আরব দেশগুলো

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা অঞ্চল নিয়ে পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলো একটি নতুন বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবনায় গাজা অঞ্চলের পুনর্গঠন এবং উন্নয়ন লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করা এবং গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দৃঢ় করার পরিকল্পনা ছিল। তবে, তার এই পরিকল্পনাটি বহুবার বিতর্কের মুখে পড়েছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে তার অবস্থানকে কেন্দ্র করে।

সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশগুলো ট্রাম্পের পরিকল্পনা বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই প্রস্তাবে, তারা আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গাজা অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

সৌদি আরবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তারা আরব শান্তি পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে, যাতে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদির নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মহলে শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে। অনেকের মতে, এই নতুন প্রস্তাব ট্রাম্পের পরিকল্পনার তুলনায় অধিক গ্রহণযোগ্য এবং ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘমেয়াদী অধিকার রক্ষায় সহায়ক হবে।

এদিকে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা কিছু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমর্থন পেলেও আন্তর্জাতিক মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আগামী দিনগুলোতে এই ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক উত্তরণ ঘটতে পারে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদির নেতৃত্বে বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করছে আরব দেশগুলো

আপডেট সময় ১১:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা অঞ্চল নিয়ে পরিকল্পনার বিপরীতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলো একটি নতুন বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবনায় গাজা অঞ্চলের পুনর্গঠন এবং উন্নয়ন লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করা এবং গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দৃঢ় করার পরিকল্পনা ছিল। তবে, তার এই পরিকল্পনাটি বহুবার বিতর্কের মুখে পড়েছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে তার অবস্থানকে কেন্দ্র করে।

সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশগুলো ট্রাম্পের পরিকল্পনা বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই প্রস্তাবে, তারা আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গাজা অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

সৌদি আরবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তারা আরব শান্তি পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে, যাতে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদির নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মহলে শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে। অনেকের মতে, এই নতুন প্রস্তাব ট্রাম্পের পরিকল্পনার তুলনায় অধিক গ্রহণযোগ্য এবং ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘমেয়াদী অধিকার রক্ষায় সহায়ক হবে।

এদিকে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা কিছু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমর্থন পেলেও আন্তর্জাতিক মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আগামী দিনগুলোতে এই ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক উত্তরণ ঘটতে পারে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।