০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ইলন মাস্কের বিস্ফোরক দাবি: সরকারি অর্থায়নে সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজন নেই!

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 102

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক সম্প্রতি সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রধান সরকারি সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) ও রেডিও ফ্রি ইউরোপ (আরএফই) বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মাস্কের মতে, করদাতাদের টাকায় চলা সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রয়োজন নেই এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে হবে, সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে নয়।

এই মন্তব্য প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের “সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন” বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণের পর মাস্কের এই দাবিকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মাস্কের সমর্থকরা বলছেন, গণমাধ্যমের বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত এবং এতে করদাতাদের অর্থ ব্যবহার করা অপ্রত্যাশিত। তবে সমালোচকরা দাবি করছেন, ভিওএ ও আরএফই শুধুমাত্র সংবাদ প্রচারক নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক এবং তথ্যযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব সংবাদমাধ্যম শোষণমুক্ত তথ্য পরিবেশন করে এবং স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রামে সহায়তা করে।

ভিওএ ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়, মূলত নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্যে। আরএফই ১৯৫০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়া এই গণমাধ্যমগুলোকে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে।

মাস্কের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন, তবে এই উদ্যোগ আরও তীব্র হতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইলন মাস্কের বিস্ফোরক দাবি: সরকারি অর্থায়নে সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজন নেই!

আপডেট সময় ০৫:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক সম্প্রতি সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রধান সরকারি সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) ও রেডিও ফ্রি ইউরোপ (আরএফই) বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মাস্কের মতে, করদাতাদের টাকায় চলা সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রয়োজন নেই এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে হবে, সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে নয়।

এই মন্তব্য প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের “সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন” বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণের পর মাস্কের এই দাবিকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মাস্কের সমর্থকরা বলছেন, গণমাধ্যমের বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত এবং এতে করদাতাদের অর্থ ব্যবহার করা অপ্রত্যাশিত। তবে সমালোচকরা দাবি করছেন, ভিওএ ও আরএফই শুধুমাত্র সংবাদ প্রচারক নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক এবং তথ্যযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব সংবাদমাধ্যম শোষণমুক্ত তথ্য পরিবেশন করে এবং স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রামে সহায়তা করে।

ভিওএ ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়, মূলত নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্যে। আরএফই ১৯৫০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়া এই গণমাধ্যমগুলোকে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে।

মাস্কের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন, তবে এই উদ্যোগ আরও তীব্র হতে পারে।