ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ শ্রমিক, ভর্তি বার্ন ইনস্টিটিউটে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা জানালেন জাভি হার্নান্দেজ ভক্তদের জন্য উপহার, আসছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক “মিরপুরের উইকেট নিয়ে লিটনের ভিন্ন সুর” আগামী আগস্ট থেকে সিরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করবে আজারবাইজান, তুরস্ক হবে ট্রানজিট পথ তুরস্কের ইউরোফাইটার চুক্তিতে অস্বস্তিতে ইসরায়েল: “গেমচেঞ্জার না হলেও মাথাব্যথা” ওমান সাগরে উত্তেজনা: ইরানি হেলিকপ্টারের হুঁশিয়ারিতে পথ বদলালো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাগেরহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বিশাল অজগর উদ্ধার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন ম্যাক্রোঁ থানার ভেতরে ছুরিকাঘাত, গাইবান্ধার এএসআই গুরুতর আহত”

তালেবানের হাতে মার্কিন অস্ত্র: ব্যর্থ প্রক্সি যুদ্ধের করুণ পরিণতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক মিশনের সমাপ্তি আফগানিস্তানে এক চরম ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর দেখা গেল, মার্কিন বাহিনী যে বিপুল অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আফগান ন্যাশনাল আর্মির জন্য রেখে গিয়েছিল, তার বড় অংশই এখন তালেবানের হাতে।

প্রায় ৮৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তৈরি আফগান সেনাবাহিনী মাত্র তিন মাসেই ভেঙে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আফগানিস্তানে ৭৮টি বিমান, ৪০,০০০ সামরিক যান এবং ৩ লাখের বেশি আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে আসে মার্কিন বাহিনী। এসব সরঞ্জাম যারা মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছিল, তাদের বদলে এখন ব্যবহার করছে তালেবান বাহিনী।

মার্কিন প্রশাসন ভেবেছিল, আফগান সেনারা নিজেদের মধ্যে লড়বে, যাতে তাদের সরাসরি সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন না পড়ে। কিন্তু তালেবান দ্রুতই কাবুল দখল করে নেয় এবং আফগান সেনারা কার্যত লড়াই ছেড়ে দেয়।

তালেবান এখন মার্কিন প্রযুক্তির অস্ত্র ও সামরিক যান ব্যবহার করে ইসলামি আমিরাতের সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছে। তারা এসব অস্ত্র ফেরত দেওয়ার কোনো ইচ্ছা দেখায়নি, বরং শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠনে তা কাজে লাগাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি যুদ্ধ কৌশলের চরম ব্যর্থতা, যা ভবিষ্যতে তাদের বৈদেশিক নীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। আফগানিস্তানে তাদের সামরিক উপস্থিতির পরিণতি এখন তালেবানের আধিপত্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

তালেবানের হাতে মার্কিন অস্ত্র: ব্যর্থ প্রক্সি যুদ্ধের করুণ পরিণতি

আপডেট সময় ০৫:২৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক মিশনের সমাপ্তি আফগানিস্তানে এক চরম ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর দেখা গেল, মার্কিন বাহিনী যে বিপুল অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আফগান ন্যাশনাল আর্মির জন্য রেখে গিয়েছিল, তার বড় অংশই এখন তালেবানের হাতে।

প্রায় ৮৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তৈরি আফগান সেনাবাহিনী মাত্র তিন মাসেই ভেঙে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আফগানিস্তানে ৭৮টি বিমান, ৪০,০০০ সামরিক যান এবং ৩ লাখের বেশি আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে আসে মার্কিন বাহিনী। এসব সরঞ্জাম যারা মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছিল, তাদের বদলে এখন ব্যবহার করছে তালেবান বাহিনী।

মার্কিন প্রশাসন ভেবেছিল, আফগান সেনারা নিজেদের মধ্যে লড়বে, যাতে তাদের সরাসরি সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন না পড়ে। কিন্তু তালেবান দ্রুতই কাবুল দখল করে নেয় এবং আফগান সেনারা কার্যত লড়াই ছেড়ে দেয়।

তালেবান এখন মার্কিন প্রযুক্তির অস্ত্র ও সামরিক যান ব্যবহার করে ইসলামি আমিরাতের সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছে। তারা এসব অস্ত্র ফেরত দেওয়ার কোনো ইচ্ছা দেখায়নি, বরং শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠনে তা কাজে লাগাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি যুদ্ধ কৌশলের চরম ব্যর্থতা, যা ভবিষ্যতে তাদের বৈদেশিক নীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। আফগানিস্তানে তাদের সামরিক উপস্থিতির পরিণতি এখন তালেবানের আধিপত্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।