ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউতে যোগ দিতে করাচির পথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ জানুয়ারির প্রথম ২৫ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলার  বাংলাদেশ ও জার্মানির বাণিজ্যিক যোগাযোগে নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত, বাংলাদেশেও ইউএসএইডের কার্যক্রম বন্ধ ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ হবে আগামী মার্চে লীক ভেজিটেবল (গ্যাস্ট্রিকের মহাঔষধ)-এর স্বাস্থ্য উপকারিতা  তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম কাবুল সফর তালেবানের হাতে আমেরিকান বন্দি: মুক্তির দাবিতে কঠোর পদক্ষেপের হুমকি ট্রাম্পের ভাবনায় আবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন তামিমের ফিফটি ও ফাহিমের বিধ্বংসী বোলিংয়ে সিলেটকে হারিয়ে প্লে-অফে ফরচুন বরিশাল

আন্তর্জাতিক

গ্রেটার ইউরেশিয়ান পার্টনারশিপ: ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য সম্ভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

২০১৫ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তাবিত গ্রেটার ইউরেশিয়ান পার্টনারশিপ (GEP) ইউরোপ ও এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর একটি সাহসী উদ্যোগ। এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তঃমহাদেশীয় বাণিজ্য রুটগুলোকে কার্যকরভাবে সংযুক্ত করা।

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI): চীনের এই উদ্যোগটি ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাকে একত্রে সংযুক্ত করেছে। এটি ২০২৩ সালে প্রায় ২.৭৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ বাণিজ্য করিডোর (INSTC): রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান ও ভারতকে সংযুক্ত এই রুটটি ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করছে।

নর্দার্ন সি রুট: রাশিয়ার আর্কটিক উপকূল ধরে তৈরি এই সমুদ্রপথ সুয়েজ খালের চেয়ে দ্রুততর বিকল্প। ২০২৩ সালে এটি ৩৬ মিলিয়নেরও বেশি টন পণ্য পরিবহন করেছে।

চীন-মঙ্গোলিয়া-রাশিয়া করিডোর: মঙ্গোলিয়ার মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও চীনকে সংযুক্ত করে এটি ইউরোপ-এশিয়া বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

পারস্য উপসাগর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর: নতুন একটি রুট হিসেবে প্রস্তাবিত এই পথ পারস্য উপসাগরের দেশগুলোকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এ উদ্যোগকে GEP-এর প্রসঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের সংযোগ দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গ্রেটার ইউরেশিয়ান পার্টনারশিপের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এসব রুট শুধু আন্তঃমহাদেশীয় বাণিজ্যকেই ত্বরান্বিত করবে না, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক

গ্রেটার ইউরেশিয়ান পার্টনারশিপ: ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০১:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

২০১৫ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তাবিত গ্রেটার ইউরেশিয়ান পার্টনারশিপ (GEP) ইউরোপ ও এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর একটি সাহসী উদ্যোগ। এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তঃমহাদেশীয় বাণিজ্য রুটগুলোকে কার্যকরভাবে সংযুক্ত করা।

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI): চীনের এই উদ্যোগটি ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাকে একত্রে সংযুক্ত করেছে। এটি ২০২৩ সালে প্রায় ২.৭৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ বাণিজ্য করিডোর (INSTC): রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান ও ভারতকে সংযুক্ত এই রুটটি ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করছে।

নর্দার্ন সি রুট: রাশিয়ার আর্কটিক উপকূল ধরে তৈরি এই সমুদ্রপথ সুয়েজ খালের চেয়ে দ্রুততর বিকল্প। ২০২৩ সালে এটি ৩৬ মিলিয়নেরও বেশি টন পণ্য পরিবহন করেছে।

চীন-মঙ্গোলিয়া-রাশিয়া করিডোর: মঙ্গোলিয়ার মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও চীনকে সংযুক্ত করে এটি ইউরোপ-এশিয়া বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

পারস্য উপসাগর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর: নতুন একটি রুট হিসেবে প্রস্তাবিত এই পথ পারস্য উপসাগরের দেশগুলোকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এ উদ্যোগকে GEP-এর প্রসঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের সংযোগ দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গ্রেটার ইউরেশিয়ান পার্টনারশিপের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এসব রুট শুধু আন্তঃমহাদেশীয় বাণিজ্যকেই ত্বরান্বিত করবে না, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্টরা।