ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের শঙ্কা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 45

বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের শঙ্কা

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও। দ্বিতীয় দফায় শপথ নেওয়ার দিনই ট্রাম্প বিদেশে মার্কিন সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। এর ফলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিভিন্ন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। বিশেষত, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং গণতন্ত্র ও সুশাসনের মতো খাতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কর্মসূচিগুলো পরিচালিত হয়।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তাদাতা। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এই সংকটে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তার পরিমাণ প্রায় ২.১ বিলিয়ন ডলার।

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৪৯ কোটি ডলার উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ খাতের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়নেও ভূমিকা রেখেছে। তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন কোনো সহায়তা স্থগিত থাকবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো কতটা প্রভাবিত হবে, তা নির্ভর করবে ৯০ দিনের পর্যালোচনার ফলাফলের ওপর। ইউএসএআইডি ছাড়াও পররাষ্ট্র, কৃষি, জ্বালানি, বিচার এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পররাষ্ট্রনীতির নির্দেশনা দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, প্রতিটি নীতি নির্ধারণ, তহবিল ব্যয় এবং সহায়তা প্রদান করার ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের শঙ্কা

আপডেট সময় ১০:২০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও। দ্বিতীয় দফায় শপথ নেওয়ার দিনই ট্রাম্প বিদেশে মার্কিন সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। এর ফলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিভিন্ন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। বিশেষত, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং গণতন্ত্র ও সুশাসনের মতো খাতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কর্মসূচিগুলো পরিচালিত হয়।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তাদাতা। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এই সংকটে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তার পরিমাণ প্রায় ২.১ বিলিয়ন ডলার।

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৪৯ কোটি ডলার উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ খাতের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়নেও ভূমিকা রেখেছে। তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন কোনো সহায়তা স্থগিত থাকবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো কতটা প্রভাবিত হবে, তা নির্ভর করবে ৯০ দিনের পর্যালোচনার ফলাফলের ওপর। ইউএসএআইডি ছাড়াও পররাষ্ট্র, কৃষি, জ্বালানি, বিচার এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পররাষ্ট্রনীতির নির্দেশনা দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, প্রতিটি নীতি নির্ধারণ, তহবিল ব্যয় এবং সহায়তা প্রদান করার ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে।