০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

“রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: বাফার জোনে বাংলাদেশ ও সৌদি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা”

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিচুক্তি হলে উভয় দেশের মাঝে একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা পর্যবেক্ষণে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা বাড়াতে সৌদি আরব বা বাংলাদেশের মতো ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশের বাইরের এক বা একাধিক দেশ থেকে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

এনবিসি নিউজের বরাতে রয়টার্সও একই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যদিও তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ভবিষ্যত আক্রমণ থেকে ইউক্রেনকে রক্ষার জন্য পরিকল্পনা করা বাফার জোনটি একটি বৃহৎ সামরিক নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল হবে। এটি ন্যাটো বহির্ভূত দেশের সৈন্য দ্বারা সুরক্ষিত হতে পারে।

তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার বা দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের সম্ভাবনা না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। গত মাসে আলাস্কায় ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন, তবে শান্তি চুক্তির জন্য মস্কোর সম্মতির কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারেও পুতিনের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক বার্তা আসেনি।

বাফার জোন হলো দুই সংঘাতময় এলাকার মাঝে একটি নিরপেক্ষ অঞ্চল, যা উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘাত বা নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করে। গত আগস্টের মাঝামাঝি হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

জেলেনস্কি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে, যার মধ্যে যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি জানান, একটি প্রস্তাবিত প্যাকেজ রয়েছে, যার মূল্য ৯০ বিলিয়ন ডলার।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য আসবে এবং ইউরোপীয় দেশগুলো এতে জড়িত থাকবে।
জেলেনস্কি এ বিষয়ে বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো বৈঠকে বসতে প্রস্তুত আছে এবং ভূখণ্ড বিনিময়ের বিষয়ে সরাসরি আলোচনা হবে পুতিনের সঙ্গে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

“রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: বাফার জোনে বাংলাদেশ ও সৌদি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা”

আপডেট সময় ১২:২৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিচুক্তি হলে উভয় দেশের মাঝে একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা পর্যবেক্ষণে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা বাড়াতে সৌদি আরব বা বাংলাদেশের মতো ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশের বাইরের এক বা একাধিক দেশ থেকে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

এনবিসি নিউজের বরাতে রয়টার্সও একই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যদিও তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ভবিষ্যত আক্রমণ থেকে ইউক্রেনকে রক্ষার জন্য পরিকল্পনা করা বাফার জোনটি একটি বৃহৎ সামরিক নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল হবে। এটি ন্যাটো বহির্ভূত দেশের সৈন্য দ্বারা সুরক্ষিত হতে পারে।

তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার বা দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের সম্ভাবনা না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। গত মাসে আলাস্কায় ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন, তবে শান্তি চুক্তির জন্য মস্কোর সম্মতির কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারেও পুতিনের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক বার্তা আসেনি।

বাফার জোন হলো দুই সংঘাতময় এলাকার মাঝে একটি নিরপেক্ষ অঞ্চল, যা উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘাত বা নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করে। গত আগস্টের মাঝামাঝি হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

জেলেনস্কি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে, যার মধ্যে যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি জানান, একটি প্রস্তাবিত প্যাকেজ রয়েছে, যার মূল্য ৯০ বিলিয়ন ডলার।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য আসবে এবং ইউরোপীয় দেশগুলো এতে জড়িত থাকবে।
জেলেনস্কি এ বিষয়ে বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো বৈঠকে বসতে প্রস্তুত আছে এবং ভূখণ্ড বিনিময়ের বিষয়ে সরাসরি আলোচনা হবে পুতিনের সঙ্গে।