০৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

“প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ”

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / 69

ছবি: সংগৃহীত

 

মিয়ানমারকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। রাখাইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সামরিক জান্তার ওপর একসময় নিষেধাজ্ঞা দিলেও সম্প্রতি মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে তা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রশিল্পে এসব খনিজ অপরিহার্য হওয়ায় চীন দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে মিয়ানমার এখন দুই শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বিজ্ঞাপন

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বড় শক্তিগুলোর স্বার্থের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে। এতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উভয়ই ঝুঁকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশি কূটনীতিকদের মতে, ২০১৭ সালের হত্যাযজ্ঞের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার চক্র ভাঙা যায়নি। এতে দেশটির সাধারণ জনগণ যেমন হুমকির মুখে রয়েছে, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন—যা পুরো অঞ্চলের জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

“প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ”

আপডেট সময় ১০:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

 

মিয়ানমারকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। রাখাইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সামরিক জান্তার ওপর একসময় নিষেধাজ্ঞা দিলেও সম্প্রতি মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে তা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রশিল্পে এসব খনিজ অপরিহার্য হওয়ায় চীন দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে মিয়ানমার এখন দুই শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বিজ্ঞাপন

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বড় শক্তিগুলোর স্বার্থের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে। এতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উভয়ই ঝুঁকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশি কূটনীতিকদের মতে, ২০১৭ সালের হত্যাযজ্ঞের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার চক্র ভাঙা যায়নি। এতে দেশটির সাধারণ জনগণ যেমন হুমকির মুখে রয়েছে, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন—যা পুরো অঞ্চলের জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে।