ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের

- আপডেট সময় ১২:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
- / 6
ইসরায়েলের সঙ্গে জুন মাসের ১২ দিনের সংঘর্ষে শুধু সামরিক নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক ও মিডিয়া যুদ্ধেও ইরান জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেছে আইআরজিসি।
একটি মিডিয়া ফোরামে বক্তব্যে আইআরজিসি জেনারেল আলী মোহাম্মদ নায়িনি বলেন,
“এই সংঘর্ষে ইরানের সেনাবাহিনী, কূটনীতিক ও মিডিয়ার মধ্যে এক অনন্য সমন্বয় তৈরি হয়েছিল, যা বিশ্বজুড়ে ইরান সম্পর্কে প্রচলিত ‘দুর্বল রাষ্ট্রের’ ধারণা বদলে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
যখন ১২০টি দেশ ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করে, আর মাত্র কয়েকটি দেশ তা সমর্থন করে— তখন বোঝা যায় শক্তির ভারসাম্য বদলেছে, এবং আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক সমীকরণ এখন ইরানের পক্ষে।
নায়িনি যুদ্ধকালীন মিডিয়ার ভূমিকাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করেন— যুদ্ধের ময়দান কভারেজ, জাতীয় সংহতি গড়া এবং মনস্তাত্ত্বিক চাপ সামাল দেওয়া— সবকিছু মিলিয়ে এটিকে একটি ‘জ্ঞানগত যুদ্ধ’ (cognitive warfare) হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন,
যুদ্ধের পরের বর্ণনাই আসল যুদ্ধ, কারণ শত্রুরা তখন বিজয়ের গল্প গড়তে চায়। এই দিক থেকে ‘ন্যারেটিভ যুদ্ধ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে আমাদের সবাইকে অংশ নিতে হবে।
ইসরায়েলের জন্য এই সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও জনমতের দিক থেকে বড় বিপর্যয় ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ স্টিভ ব্যানন পরে প্রকাশ্যে বলেন, এই যুদ্ধবিরতির পুরো পরিকল্পনাই ছিল ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য, কারণ তারা এক ঘুমন্ত দৈত্যকে (ইরানকে) জাগিয়ে ভুল করে ফেলেছিল।