আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বীপে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

- আপডেট সময় ০৭:২৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
- / 4
ইন্দোনেশিয়া তার জনবসতিহীন দ্বীপ গালাং-এর একটি চিকিৎসাকেন্দ্রকে গাজার প্রায় ২০০০ আহত বাসিন্দার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করছে। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানান।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়া গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দখলদার বাহিনীর আক্রমণে অঞ্চলটিতে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মুখপাত্র হাসান নাসবি সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়া প্রায় ২০০০ গাজাবাসীকে চিকিৎসা সহায়তা দেবে; যারা যুদ্ধের শিকার হয়েছে, আহত হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। এই চর্চার কখনো ব্যতিক্রম হবে না বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে এবং সিঙ্গাপুরের দক্ষিণের গালাং নামক জনবসতিহীন দ্বীপে এই চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেখানে আহত গাজার বাসিন্দাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং তাদের পরিবারকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হবে।’ রোগীদের সুস্থ হওয়ার পর গাজায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কয়েক মাসের সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর আহত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার এই পরিকল্পনাটি এলো।
আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, অনেকেই এই প্রস্তাবটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা থেকে স্থায়ীভাবে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শের খুব কাছাকাছি বলে মনে করছেন।
তবে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানের জন্য ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয়’ সমাধানকে সমর্থন করে। তারা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে গালাং দ্বীপে কোভিড-১৯ মহামারীতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যও একটি হাসপাতাল খোলা হয়েছিল। এটি ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ পরিচালিত একটি বিস্তৃত শরণার্থী শিবির ছিল, যেখানে ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার লোকের আশ্রয়স্থল ছিল।