ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগে চীন, উদ্বিগ্ন ভাটির দেশগুলো

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

 

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং এটি নির্মাণ শেষে যুক্তরাজ্যের একটি বছরের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। চীনের বর্তমান সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থ্রি গর্জেস বাঁধকেও ছাপিয়ে যাবে এই নতুন কেন্দ্রটি। প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং যখন এ নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের ঘোষণা দেন, তখনই চীনের নির্মাণ ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়।

এই প্রকল্প চীনের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থবির অর্থনীতিকে গতিশীল করার আশাব্যঞ্জক প্রতিশ্রুতি বয়ে আনছে। তবে একইসঙ্গে, তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর নির্মিত হতে যাওয়া এই বাঁধ ভাটির দেশগুলো — বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশ — এর মধ্যে দীর্ঘদিনের পানি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ আবারও সামনে এনেছে। কারণ এই নদী ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত এবং পরে বাংলাদেশের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হয়। নদীটি দুই দেশের কোটি মানুষের জীবিকা, কৃষি ও পানীয় জলের প্রধান উৎস।

চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নদী অংশজুড়ে পাঁচটি বাঁধ নির্মাণ করা হবে, যেখানে নদীটি প্রায় ২ হাজার মিটার উচ্চতা থেকে নিচে নেমেছে। প্রথম পর্যায়ের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে ২০৩০-এর দশকের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে। তবে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের নির্মাণপদ্ধতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেনি বেইজিং, শুধুমাত্র ব্যয় ও সময়সীমা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে।

তথ্য স্বচ্ছতার অভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এরই মধ্যে জানিয়েছেন, এই বাঁধ রাজ্যে প্রবাহিত নদীর ৮০ শতাংশ পানি শুকিয়ে দিতে পারে। এতে শুধু রাজ্য নয়, ভাটির আসামসহ অন্যান্য অঞ্চলও প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল স্টেকলার মনে করেন, এই প্রকল্প নদীর সঙ্গে আসা গুরুত্বপূর্ণ পলিমাটির প্রবাহও ব্যাহত করবে। পলিমাটি ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বহন করে এবং এর ঘাটতি ভাটির কৃষিকাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

পানি সংক্রান্ত এই উদ্বেগ নতুন নয়। ১৯৬০-এর দশকে এই অঞ্চলেই ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ হয়েছিল। পানির তথ্য শেয়ারে চীনের অনীহা এবং স্বচ্ছতার অভাব এই সন্দেহকে জোরদার করেছে যে ভবিষ্যতের কোনো সংঘর্ষে চীন ইচ্ছাকৃতভাবে পানিপ্রবাহ থামিয়ে দিতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার ভারত-চীন পানি বিশেষজ্ঞ সায়নাংশু মোদক এই আশঙ্কার কথাই বলছেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, এই প্রকল্পটি তাদের সার্বভৌম অধিকারের অংশ এবং এটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। তারা আরও জানায়, জলবায়ু তথ্য, দুর্যোগ প্রশমন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে ভাটির দেশগুলোর সঙ্গে তারা প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করেছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

পানি নিরাপত্তা নিয়ে যদিও উদ্বেগ রয়েছে, তবে সায়নাংশু মোদক মনে করেন আশঙ্কাগুলো কিছুটা অতিরঞ্জিত। তার মতে, ব্রহ্মপুত্র নদে যত পানি আসে, তার বড় অংশই আসে হিমালয়ের দক্ষিণে মৌসুমি বৃষ্টিপাত থেকে, চীনের অংশ থেকে নয়। প্রকল্পটি “রান-অফ-দ্য-রিভার” প্রকল্প হওয়ায় এটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

ভারতও ব্রহ্মপুত্র নদে দুটি বড় বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। এর একটি হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশে ১১.৫ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রকল্প, যা বাস্তবায়িত হলে ভারতের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হবে। মোদক বলেন, ভারত নিজের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্যই এই প্রকল্পগুলো নিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে চীনের কোনো একতরফা সিদ্ধান্তে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

পানি নিয়ে বিতর্ক কেবল ভারত ও চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে—যে ভারত যৌথ পানিসম্পদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ভারত যখন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে, তখন পাকিস্তান এই অভিযোগ তোলে।

বিশ্বে আরও এমন নজির আছে। ইথিওপিয়ার নীলনদের ওপর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার প্রতিবাদে একসময় মিসরের রাজনীতিকরা সরাসরি হামলার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী বিরোধে রূপ নেয়।

চীনের নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি তিব্বতের একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে নির্মিত হচ্ছে, যেখানে রয়েছে ভূমিধস, হিমবাহ হ্রদের বন্যা এবং ঝড়ের আশঙ্কা। বছর শুরুর দিকেই তিব্বতে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে এবং বিশেষজ্ঞরা তখনই ব্যাপক বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।

এছাড়াও, প্রকল্পটির কাছাকাছি আরেকটি উপনদীতে একটি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে চীন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতায় অবস্থিত এই এলাকায় প্রকৌশলগত নানা চ্যালেঞ্জ থাকায় বছরে মাত্র চার মাস প্রকল্পের কাজ চালানো সম্ভব হয়।

সূত্র: রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগে চীন, উদ্বিগ্ন ভাটির দেশগুলো

আপডেট সময় ০৬:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

 

 

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং এটি নির্মাণ শেষে যুক্তরাজ্যের একটি বছরের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। চীনের বর্তমান সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থ্রি গর্জেস বাঁধকেও ছাপিয়ে যাবে এই নতুন কেন্দ্রটি। প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং যখন এ নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের ঘোষণা দেন, তখনই চীনের নির্মাণ ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়।

এই প্রকল্প চীনের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থবির অর্থনীতিকে গতিশীল করার আশাব্যঞ্জক প্রতিশ্রুতি বয়ে আনছে। তবে একইসঙ্গে, তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর নির্মিত হতে যাওয়া এই বাঁধ ভাটির দেশগুলো — বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশ — এর মধ্যে দীর্ঘদিনের পানি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ আবারও সামনে এনেছে। কারণ এই নদী ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত এবং পরে বাংলাদেশের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হয়। নদীটি দুই দেশের কোটি মানুষের জীবিকা, কৃষি ও পানীয় জলের প্রধান উৎস।

চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নদী অংশজুড়ে পাঁচটি বাঁধ নির্মাণ করা হবে, যেখানে নদীটি প্রায় ২ হাজার মিটার উচ্চতা থেকে নিচে নেমেছে। প্রথম পর্যায়ের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে ২০৩০-এর দশকের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে। তবে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের নির্মাণপদ্ধতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেনি বেইজিং, শুধুমাত্র ব্যয় ও সময়সীমা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে।

তথ্য স্বচ্ছতার অভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এরই মধ্যে জানিয়েছেন, এই বাঁধ রাজ্যে প্রবাহিত নদীর ৮০ শতাংশ পানি শুকিয়ে দিতে পারে। এতে শুধু রাজ্য নয়, ভাটির আসামসহ অন্যান্য অঞ্চলও প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল স্টেকলার মনে করেন, এই প্রকল্প নদীর সঙ্গে আসা গুরুত্বপূর্ণ পলিমাটির প্রবাহও ব্যাহত করবে। পলিমাটি ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বহন করে এবং এর ঘাটতি ভাটির কৃষিকাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

পানি সংক্রান্ত এই উদ্বেগ নতুন নয়। ১৯৬০-এর দশকে এই অঞ্চলেই ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ হয়েছিল। পানির তথ্য শেয়ারে চীনের অনীহা এবং স্বচ্ছতার অভাব এই সন্দেহকে জোরদার করেছে যে ভবিষ্যতের কোনো সংঘর্ষে চীন ইচ্ছাকৃতভাবে পানিপ্রবাহ থামিয়ে দিতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার ভারত-চীন পানি বিশেষজ্ঞ সায়নাংশু মোদক এই আশঙ্কার কথাই বলছেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, এই প্রকল্পটি তাদের সার্বভৌম অধিকারের অংশ এবং এটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। তারা আরও জানায়, জলবায়ু তথ্য, দুর্যোগ প্রশমন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে ভাটির দেশগুলোর সঙ্গে তারা প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করেছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

পানি নিরাপত্তা নিয়ে যদিও উদ্বেগ রয়েছে, তবে সায়নাংশু মোদক মনে করেন আশঙ্কাগুলো কিছুটা অতিরঞ্জিত। তার মতে, ব্রহ্মপুত্র নদে যত পানি আসে, তার বড় অংশই আসে হিমালয়ের দক্ষিণে মৌসুমি বৃষ্টিপাত থেকে, চীনের অংশ থেকে নয়। প্রকল্পটি “রান-অফ-দ্য-রিভার” প্রকল্প হওয়ায় এটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

ভারতও ব্রহ্মপুত্র নদে দুটি বড় বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। এর একটি হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশে ১১.৫ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রকল্প, যা বাস্তবায়িত হলে ভারতের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হবে। মোদক বলেন, ভারত নিজের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্যই এই প্রকল্পগুলো নিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে চীনের কোনো একতরফা সিদ্ধান্তে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

পানি নিয়ে বিতর্ক কেবল ভারত ও চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে—যে ভারত যৌথ পানিসম্পদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ভারত যখন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে, তখন পাকিস্তান এই অভিযোগ তোলে।

বিশ্বে আরও এমন নজির আছে। ইথিওপিয়ার নীলনদের ওপর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার প্রতিবাদে একসময় মিসরের রাজনীতিকরা সরাসরি হামলার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী বিরোধে রূপ নেয়।

চীনের নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি তিব্বতের একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে নির্মিত হচ্ছে, যেখানে রয়েছে ভূমিধস, হিমবাহ হ্রদের বন্যা এবং ঝড়ের আশঙ্কা। বছর শুরুর দিকেই তিব্বতে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে এবং বিশেষজ্ঞরা তখনই ব্যাপক বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।

এছাড়াও, প্রকল্পটির কাছাকাছি আরেকটি উপনদীতে একটি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে চীন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতায় অবস্থিত এই এলাকায় প্রকৌশলগত নানা চ্যালেঞ্জ থাকায় বছরে মাত্র চার মাস প্রকল্পের কাজ চালানো সম্ভব হয়।

সূত্র: রয়টার্স