গাজা সংকটে আশার বার্তা দিলেন ট্রাম্প, আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত

- আপডেট সময় ১২:৪৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
- / 4
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার চলমান সংঘাত ও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মাঝে আশার আলো দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, গাজা পরিস্থিতি নিয়ে রয়েছে ‘সুখবর’। এই মন্তব্যের পর মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা নিয়ে আমাদের কিছু ভালো খবর রয়েছে এবং আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা উচ্চপর্যায়ে কাজ করছি।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তুমি দারুণ কাজ করছো।’
তবে গাজা সংকট নিয়ে ট্রাম্পের এই ‘ভালো খবর’ ঠিক কী তা তিনি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেননি। এরপরও কূটনৈতিক মহলে বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এই আলোচনা নিয়ে দোহায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় ‘নাটকীয় অগ্রগতি’ হয়েছে বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে। ৬ জুলাই শুরু হওয়া আলোচনার লক্ষ্য হলো যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের একটি সমঝোতায় পৌঁছানো। ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ জানায়, আলোচনার পথে এখন আর কোনও বড় ধরনের বাধা নেই।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে ‘অতিরিক্ত নমনীয়তা’ প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন। এতে আলোচনার গতি বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫৮ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ হাজারের বেশি মানুষ। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন এবং খাদ্যসংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এদিকে, হামাসের হাতে এখনো অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, ইসরায়েলের কারাগারে রয়েছেন ১০ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অনেকেই নির্যাতন, খাদ্য সংকট ও চিকিৎসা অবহেলার শিকার বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
বিশ্ববাসী এখন তাকিয়ে রয়েছে এই আলোচনার পরবর্তী অগ্রগতির দিকে।