ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১ জন সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত ৫৫ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্প প্রশাসন পুড়িয়ে ফেলছে ৫০০ টন জরুরি খাদ্য গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে: ঘোষণা নাহিদ ইসলামের গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও দেশব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ডাক এনসিপির উত্তেজনায় রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি গল্প দিয়ে ইতিহাস লেখা যায় না: জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. মঈন খানের হুঁশিয়ারি চুয়াডাঙ্গায় জমি বিরোধ নিয়ে পৃথক দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৬১ ফিলিস্তিনি, আহত বহু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আবারো রক্তে রঞ্জিত হলো ফিলিস্তিনি জনপদ। মঙ্গলবারের বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬১ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন ত্রাণপ্রার্থী নারী। আহত হয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে মঙ্গলবার সকালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি। বোমার আঘাতে আহত হন আরও অনেকে, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, দক্ষিণ গাজায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই ফিলিস্তিনি নারী। আহত হন অন্তত ৩০ জন।

এই ঘটনাসহ জিএইচএফের ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭৫ জনে। মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে বারবার প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১৮ জন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু এবং নারী।

অন্যদিকে, শিশুদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। অবরোধ, খাবারের সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে শিশুদের জীবন আজ চরম ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা, খাদ্য ও নিরাপত্তাহীনতা এক ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে গাজায়। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের এসব হামলা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৬১ ফিলিস্তিনি, আহত বহু

আপডেট সময় ১০:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আবারো রক্তে রঞ্জিত হলো ফিলিস্তিনি জনপদ। মঙ্গলবারের বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬১ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন ত্রাণপ্রার্থী নারী। আহত হয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে মঙ্গলবার সকালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি। বোমার আঘাতে আহত হন আরও অনেকে, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, দক্ষিণ গাজায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই ফিলিস্তিনি নারী। আহত হন অন্তত ৩০ জন।

এই ঘটনাসহ জিএইচএফের ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭৫ জনে। মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে বারবার প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১৮ জন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু এবং নারী।

অন্যদিকে, শিশুদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। অবরোধ, খাবারের সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে শিশুদের জীবন আজ চরম ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা, খাদ্য ও নিরাপত্তাহীনতা এক ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে গাজায়। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের এসব হামলা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।