১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৬১ ফিলিস্তিনি, আহত বহু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আবারো রক্তে রঞ্জিত হলো ফিলিস্তিনি জনপদ। মঙ্গলবারের বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬১ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন ত্রাণপ্রার্থী নারী। আহত হয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে মঙ্গলবার সকালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি। বোমার আঘাতে আহত হন আরও অনেকে, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, দক্ষিণ গাজায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই ফিলিস্তিনি নারী। আহত হন অন্তত ৩০ জন।

এই ঘটনাসহ জিএইচএফের ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭৫ জনে। মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে বারবার প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১৮ জন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু এবং নারী।

অন্যদিকে, শিশুদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। অবরোধ, খাবারের সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে শিশুদের জীবন আজ চরম ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা, খাদ্য ও নিরাপত্তাহীনতা এক ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে গাজায়। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের এসব হামলা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৬১ ফিলিস্তিনি, আহত বহু

আপডেট সময় ১০:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আবারো রক্তে রঞ্জিত হলো ফিলিস্তিনি জনপদ। মঙ্গলবারের বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬১ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন ত্রাণপ্রার্থী নারী। আহত হয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে মঙ্গলবার সকালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি। বোমার আঘাতে আহত হন আরও অনেকে, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, দক্ষিণ গাজায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই ফিলিস্তিনি নারী। আহত হন অন্তত ৩০ জন।

এই ঘটনাসহ জিএইচএফের ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭৫ জনে। মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে বারবার প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১৮ জন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু এবং নারী।

অন্যদিকে, শিশুদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। অবরোধ, খাবারের সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে শিশুদের জীবন আজ চরম ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা, খাদ্য ও নিরাপত্তাহীনতা এক ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে গাজায়। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ না থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের এসব হামলা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।