০৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। শনিবার (২৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে হামাসের অধীনস্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের কর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের একটি স্টেডিয়ামের কাছে চালানো হামলায় শিশু সহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। স্টেডিয়ামটিতে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুচ্যুত অসংখ্য মানুষ, যা সাময়িক শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির যাচাইকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয়রা খালি হাতে কিংবা কোদাল দিয়ে বালু সরিয়ে মরদেহ বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। হামলার মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “তারা রাস্তার পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎ বিশাল শব্দের বিস্ফোরণ ঘটে, তারপরই চারপাশ ধুলোয় ঢেকে যায়।”

ফিলিস্তিনি নাগরিক আহমেদ কিশাউই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “এই জায়গাটি ছিল তাঁবুতে ভরা। এখন সব তাঁবু বালুর নিচে চাপা পড়ে গেছে। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে খালি হাতে খুঁড়ে মরদেহ বের করছি।”

গাজার একাধিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে চালানো এই হামলায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত কর্মকর্তারা।

এদিকে হাসপাতালগুলোতেও ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছে। আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত না থাকায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ হামলার নিন্দা জানালেও হামলার তীব্রতা ও এর পরিণতি ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়ছে না।

সূত্র: বিবিসি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। শনিবার (২৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে হামাসের অধীনস্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের কর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের একটি স্টেডিয়ামের কাছে চালানো হামলায় শিশু সহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। স্টেডিয়ামটিতে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুচ্যুত অসংখ্য মানুষ, যা সাময়িক শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির যাচাইকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয়রা খালি হাতে কিংবা কোদাল দিয়ে বালু সরিয়ে মরদেহ বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। হামলার মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “তারা রাস্তার পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎ বিশাল শব্দের বিস্ফোরণ ঘটে, তারপরই চারপাশ ধুলোয় ঢেকে যায়।”

ফিলিস্তিনি নাগরিক আহমেদ কিশাউই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “এই জায়গাটি ছিল তাঁবুতে ভরা। এখন সব তাঁবু বালুর নিচে চাপা পড়ে গেছে। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে খালি হাতে খুঁড়ে মরদেহ বের করছি।”

গাজার একাধিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে চালানো এই হামলায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত কর্মকর্তারা।

এদিকে হাসপাতালগুলোতেও ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছে। আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত না থাকায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ হামলার নিন্দা জানালেও হামলার তীব্রতা ও এর পরিণতি ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়ছে না।

সূত্র: বিবিসি