ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই ‘যুদ্ধবিরতির দাবি’ ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে চমক দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।

ট্রাম্পের এই দাবিতে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, “ইসরায়েল এবং ইরান উভয় দেশই আমার কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন জানিয়েছে। তারা চায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি এই বার্তাটি জানাতে বাধ্য হলাম, কারণ বিষয়টি এখন আর শুধু একটি সংঘাত নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে একটি বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, দুই দেশই চায় এই যুদ্ধ শেষ হোক।”

তবে সিএনএনের মতে, ট্রাম্পের এ বক্তব্যের পরও ইসরায়েল ও ইরান কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়নি। বরং ট্রাম্পের এই ঘোষণার ঠিক আগেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরান থেকে আবারও তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে সম্প্রতি একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানেই এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে দাবি করা হয়। ট্রাম্প পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ পোস্ট দিয়ে বিষয়টি সামনে আনেন।

এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ একে শান্তির সম্ভাব্য ইঙ্গিত বললেও, অনেকে এটিকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েল-ইরানের মতো শক্তিধর দুটি দেশের সংঘাতে কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা সহজ বিষয় নয়, এবং এতে বাস্তব সম্মতির চেয়ে রাজনৈতিক লাভের হিসাবই বেশি কাজ করতে পারে।

তবে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্যতা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও ট্রাম্পের এ বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে নতুন মোড় দিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ইসরায়েল ও ইরানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই ‘যুদ্ধবিরতির দাবি’ ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১১:৪০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে চমক দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।

ট্রাম্পের এই দাবিতে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, “ইসরায়েল এবং ইরান উভয় দেশই আমার কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন জানিয়েছে। তারা চায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি এই বার্তাটি জানাতে বাধ্য হলাম, কারণ বিষয়টি এখন আর শুধু একটি সংঘাত নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে একটি বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, দুই দেশই চায় এই যুদ্ধ শেষ হোক।”

তবে সিএনএনের মতে, ট্রাম্পের এ বক্তব্যের পরও ইসরায়েল ও ইরান কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়নি। বরং ট্রাম্পের এই ঘোষণার ঠিক আগেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরান থেকে আবারও তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে সম্প্রতি একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানেই এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে দাবি করা হয়। ট্রাম্প পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ পোস্ট দিয়ে বিষয়টি সামনে আনেন।

এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ একে শান্তির সম্ভাব্য ইঙ্গিত বললেও, অনেকে এটিকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েল-ইরানের মতো শক্তিধর দুটি দেশের সংঘাতে কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা সহজ বিষয় নয়, এবং এতে বাস্তব সম্মতির চেয়ে রাজনৈতিক লাভের হিসাবই বেশি কাজ করতে পারে।

তবে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্যতা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও ট্রাম্পের এ বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে নতুন মোড় দিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ইসরায়েল ও ইরানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার।