০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই ‘যুদ্ধবিরতির দাবি’ ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / 52

ছবি সংগৃহীত

 

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে চমক দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।

ট্রাম্পের এই দাবিতে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, “ইসরায়েল এবং ইরান উভয় দেশই আমার কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন জানিয়েছে। তারা চায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে।”

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি এই বার্তাটি জানাতে বাধ্য হলাম, কারণ বিষয়টি এখন আর শুধু একটি সংঘাত নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে একটি বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, দুই দেশই চায় এই যুদ্ধ শেষ হোক।”

তবে সিএনএনের মতে, ট্রাম্পের এ বক্তব্যের পরও ইসরায়েল ও ইরান কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়নি। বরং ট্রাম্পের এই ঘোষণার ঠিক আগেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরান থেকে আবারও তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে সম্প্রতি একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানেই এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে দাবি করা হয়। ট্রাম্প পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ পোস্ট দিয়ে বিষয়টি সামনে আনেন।

এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ একে শান্তির সম্ভাব্য ইঙ্গিত বললেও, অনেকে এটিকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েল-ইরানের মতো শক্তিধর দুটি দেশের সংঘাতে কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা সহজ বিষয় নয়, এবং এতে বাস্তব সম্মতির চেয়ে রাজনৈতিক লাভের হিসাবই বেশি কাজ করতে পারে।

তবে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্যতা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও ট্রাম্পের এ বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে নতুন মোড় দিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ইসরায়েল ও ইরানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই ‘যুদ্ধবিরতির দাবি’ ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১১:৪০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে চমক দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।

ট্রাম্পের এই দাবিতে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, “ইসরায়েল এবং ইরান উভয় দেশই আমার কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন জানিয়েছে। তারা চায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে।”

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি এই বার্তাটি জানাতে বাধ্য হলাম, কারণ বিষয়টি এখন আর শুধু একটি সংঘাত নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে একটি বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, দুই দেশই চায় এই যুদ্ধ শেষ হোক।”

তবে সিএনএনের মতে, ট্রাম্পের এ বক্তব্যের পরও ইসরায়েল ও ইরান কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়নি। বরং ট্রাম্পের এই ঘোষণার ঠিক আগেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরান থেকে আবারও তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে সম্প্রতি একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানেই এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে দাবি করা হয়। ট্রাম্প পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ পোস্ট দিয়ে বিষয়টি সামনে আনেন।

এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ একে শান্তির সম্ভাব্য ইঙ্গিত বললেও, অনেকে এটিকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েল-ইরানের মতো শক্তিধর দুটি দেশের সংঘাতে কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা সহজ বিষয় নয়, এবং এতে বাস্তব সম্মতির চেয়ে রাজনৈতিক লাভের হিসাবই বেশি কাজ করতে পারে।

তবে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্যতা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও ট্রাম্পের এ বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে নতুন মোড় দিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ইসরায়েল ও ইরানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার।