০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে পরমাণু আলোচনা ‘অর্থহীন’: ইরান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 63

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরায়েলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা আর কোনও মানে রাখে না বলে মন্তব্য করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঈসমাইল বাকায়ি এই মন্তব্য করেন। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া সম্ভব হতো না। তাই ওয়াশিংটনও হামলার জন্য সরাসরি দায়ী।

বাকায়ি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সংলাপের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আপনি একদিকে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করতে চান, অথচ অন্যদিকে ইসরায়েলকে ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে দেন। এটা দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়।”

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের এই সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের অন্তত ৭৮ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।

জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদ ইরাওয়ানি জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েল রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে একযোগে হামলা চালায়। শুধু সামরিক স্থাপনাই নয়, এই হামলায় আবাসিক ভবনও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এর ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে ইরাওয়ানি বলেন, “এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। ইরান তার ভূখণ্ডে হামলার যথোচিত জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান পরমাণু আলোচনাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন পশ্চিমা বিশ্ব চাচ্ছিল নতুন করে আলোচনার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনতে।

আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই সংঘর্ষ শুধু ইরান-ইসরায়েল সীমিত দ্বন্দ্ব নয়, বরং এর পেছনে বৃহৎ শক্তির রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে তা পুরো অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে পরমাণু আলোচনা ‘অর্থহীন’: ইরান

আপডেট সময় ১২:২১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

ইসরায়েলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা আর কোনও মানে রাখে না বলে মন্তব্য করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঈসমাইল বাকায়ি এই মন্তব্য করেন। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া সম্ভব হতো না। তাই ওয়াশিংটনও হামলার জন্য সরাসরি দায়ী।

বাকায়ি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সংলাপের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আপনি একদিকে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করতে চান, অথচ অন্যদিকে ইসরায়েলকে ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে দেন। এটা দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়।”

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের এই সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের অন্তত ৭৮ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।

জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদ ইরাওয়ানি জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েল রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে একযোগে হামলা চালায়। শুধু সামরিক স্থাপনাই নয়, এই হামলায় আবাসিক ভবনও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এর ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে ইরাওয়ানি বলেন, “এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। ইরান তার ভূখণ্ডে হামলার যথোচিত জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান পরমাণু আলোচনাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন পশ্চিমা বিশ্ব চাচ্ছিল নতুন করে আলোচনার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনতে।

আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই সংঘর্ষ শুধু ইরান-ইসরায়েল সীমিত দ্বন্দ্ব নয়, বরং এর পেছনে বৃহৎ শক্তির রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে তা পুরো অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।