গাজা, ইয়েমেন ও লেবাননে ইসরাইলি নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে

- আপডেট সময় ০১:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
- / 10
ইসরাইলি বাহিনী গাজা, ইয়েমেন ও লেবাননে একযোগে হামলা চালিয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিনেও গাজার আকাশে শান্তি নেই, একইসঙ্গে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ও ইয়েমেনের বন্দরে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরাইলি নৌবাহিনী এবং দক্ষিণ লেবাননে চালানো ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন দুজন।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, এই প্রথমবারের মতো ইয়েমেনের হুতিদের নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা বন্দরে ইসরাইলি নৌবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর আগে সোমবার হোদেইদা ও পশ্চিম উপকূলের আরও দুটি বন্দর খালি করার নির্দেশ দেয় তেল আবিব। এরপরই শুরু হয় এই সামরিক অভিযান।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, হুতিদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করতেই এই হামলা করা হয়েছে। তাদের মতে, ইয়েমেনের বন্দরগুলো সামরিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ইসরাইলি বাহিনীর ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হুতিরা হামলা চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে নৌ ও বিমান হামলা চলবে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ লেবাননের শেবা শহরের কাছে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি ও তার ছেলে। আরও একজন আহত হন। লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ইসরাইল প্রতিদিনই দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে নিয়মিত প্রাণহানি ঘটছে।
গাজার পরিস্থিতিও রক্তাক্ত। রাফাহ শহরে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি গুলিতে অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আল-জাজিরার মতে, এদিন গাজাজুড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ জনে। এমনকি নিরাপদ ঘোষিত খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায়ও চালানো হয় ড্রোন হামলা। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রাফাহর বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোর আশপাশে নিহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
এছাড়া পশ্চিম তীরের তুলকারেম অঞ্চলে বড় ধরনের অভিযান চালায় ইসরাইলি সেনারা। বাকা আল-শারকিয়া, আটতিল, আল্লারসহ কয়েকটি শহরে গাড়ি তল্লাশি ও ধরপাকড় চলে সারা রাত। তুলকারেম শরণার্থী ক্যাম্পে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বহু বসতবাড়ি।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এই সমন্বিত হামলা নতুন করে ভয়াবহ মানবিক সংকটের আশঙ্কা তৈরি করেছে।