ঢাকা ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শর্তহীন অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব কম্বোডিয়ার কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ শ্রমিক, ভর্তি বার্ন ইনস্টিটিউটে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা জানালেন জাভি হার্নান্দেজ ভক্তদের জন্য উপহার, আসছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক “মিরপুরের উইকেট নিয়ে লিটনের ভিন্ন সুর” আগামী আগস্ট থেকে সিরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করবে আজারবাইজান, তুরস্ক হবে ট্রানজিট পথ তুরস্কের ইউরোফাইটার চুক্তিতে অস্বস্তিতে ইসরায়েল: “গেমচেঞ্জার না হলেও মাথাব্যথা” ওমান সাগরে উত্তেজনা: ইরানি হেলিকপ্টারের হুঁশিয়ারিতে পথ বদলালো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাগেরহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বিশাল অজগর উদ্ধার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন ম্যাক্রোঁ

গা/জা/য় ত্রাণ কেন্দ্রে গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চায় জাতিসংঘ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা ভূখণ্ডে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রবিবার এ ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে। গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে এমন খবরে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফাহ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মানুষ যখন খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই গুলি চালানো হয়। এই হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের পরিচালিত হাসপাতালে অন্তত ১৭৯ জন আহত ও নিহত অবস্থায় পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, হামাসের নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটিতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর মতো কোনো কর্মকাণ্ড ঘটেনি এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো ‘ভুল ও ভিত্তিহীন’। একইসঙ্গে জিএইচএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ত্রাণকেন্দ্র বা আশেপাশে কোনো হামলার প্রমাণ মেলেনি এবং প্রচারিত তথ্যগুলো ‘সম্পূর্ণ বানোয়াট’।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রেখেছে, ফলে স্বাধীনভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “গাজায় সাহায্য নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি এই ঘটনার নিরপেক্ষ, তাৎক্ষণিক ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়।”

এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন ও শান্তিকামী মানুষদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। গাজায় ক্রমাগত মানবিক সংকট ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/য় ত্রাণ কেন্দ্রে গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চায় জাতিসংঘ

আপডেট সময় ০১:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

 

গাজা ভূখণ্ডে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রবিবার এ ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে। গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে এমন খবরে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফাহ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মানুষ যখন খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই গুলি চালানো হয়। এই হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের পরিচালিত হাসপাতালে অন্তত ১৭৯ জন আহত ও নিহত অবস্থায় পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, হামাসের নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটিতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর মতো কোনো কর্মকাণ্ড ঘটেনি এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো ‘ভুল ও ভিত্তিহীন’। একইসঙ্গে জিএইচএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ত্রাণকেন্দ্র বা আশেপাশে কোনো হামলার প্রমাণ মেলেনি এবং প্রচারিত তথ্যগুলো ‘সম্পূর্ণ বানোয়াট’।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রেখেছে, ফলে স্বাধীনভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “গাজায় সাহায্য নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি এই ঘটনার নিরপেক্ষ, তাৎক্ষণিক ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়।”

এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন ও শান্তিকামী মানুষদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। গাজায় ক্রমাগত মানবিক সংকট ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে।