০৭:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

গা/জা/য় ত্রাণ কেন্দ্রে গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চায় জাতিসংঘ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / 88

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা ভূখণ্ডে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রবিবার এ ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে। গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে এমন খবরে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফাহ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মানুষ যখন খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই গুলি চালানো হয়। এই হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের পরিচালিত হাসপাতালে অন্তত ১৭৯ জন আহত ও নিহত অবস্থায় পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, হামাসের নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটিতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর মতো কোনো কর্মকাণ্ড ঘটেনি এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো ‘ভুল ও ভিত্তিহীন’। একইসঙ্গে জিএইচএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ত্রাণকেন্দ্র বা আশেপাশে কোনো হামলার প্রমাণ মেলেনি এবং প্রচারিত তথ্যগুলো ‘সম্পূর্ণ বানোয়াট’।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রেখেছে, ফলে স্বাধীনভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “গাজায় সাহায্য নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি এই ঘটনার নিরপেক্ষ, তাৎক্ষণিক ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়।”

এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন ও শান্তিকামী মানুষদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। গাজায় ক্রমাগত মানবিক সংকট ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/য় ত্রাণ কেন্দ্রে গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চায় জাতিসংঘ

আপডেট সময় ০১:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

 

গাজা ভূখণ্ডে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রবিবার এ ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে। গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে এমন খবরে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফাহ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মানুষ যখন খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই গুলি চালানো হয়। এই হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের পরিচালিত হাসপাতালে অন্তত ১৭৯ জন আহত ও নিহত অবস্থায় পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, হামাসের নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটিতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর মতো কোনো কর্মকাণ্ড ঘটেনি এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো ‘ভুল ও ভিত্তিহীন’। একইসঙ্গে জিএইচএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ত্রাণকেন্দ্র বা আশেপাশে কোনো হামলার প্রমাণ মেলেনি এবং প্রচারিত তথ্যগুলো ‘সম্পূর্ণ বানোয়াট’।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রেখেছে, ফলে স্বাধীনভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “গাজায় সাহায্য নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি এই ঘটনার নিরপেক্ষ, তাৎক্ষণিক ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়।”

এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন ও শান্তিকামী মানুষদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। গাজায় ক্রমাগত মানবিক সংকট ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে।