গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত সংস্থার ত্রাণকেন্দ্রে হামলা, নিহত ২২ ফিলিস্তিনি

- আপডেট সময় ১০:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / 5
দক্ষিণ গাজার রাফায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত একটি বিতর্কিত সংস্থার ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।
রোববার (১ জুন) আল-জাজিরার আরবি প্রতিনিধি গাজা থেকে জানান, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রে গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা। হামলার সময় অসংখ্য মানুষ ত্রাণ সংগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও ইসরাইলি বাহিনী এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। তারা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির জন্য গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং অবাধ মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তারা ১০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মি এবং ১৮ জন মৃত জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তরে প্রস্তুত।
শনিবার (৩১ মে) এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করা।’
বিবৃতিতে সরাসরি কোনো সংশোধনের কথা উল্লেখ না থাকলেও, রয়টার্সকে দেওয়া এক বক্তব্যে এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, হামাস কিছু সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও সামগ্রিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির খসড়া নিয়ে হামাস তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তারা পুনরায় তাদের পুরনো শর্তগুলোর ওপর জোর দিয়েছে যেমন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা।
তবে হামাসের এমন প্রতিক্রিয়াকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি যুদ্ধ মন্ত্রীর উপদেষ্টা উইটকফ। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ‘হামাসের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত কাঠামো প্রস্তাব আলোচনার ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা, যেন চলতি সপ্তাহেই কার্যকর সমঝোতায় পৌঁছানো যায়।’
গাজায় সংঘাত চলমান থাকলেও, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। তবে চূড়ান্ত সমাধানের আগে দুই পক্ষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য সমঝোতা অনিশ্চিত রয়ে যাচ্ছে।