ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘শেখ হাসিনার এ বিচার প্রতিশোধ নয়, ভবিষ্যতের প্রতিজ্ঞা’: চিফ প্রসিকিউটর জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান, চূড়ান্ত হলো সূচি তীব্র গরমে সুস্থ থাকার ঘরোয়া টিপস: সহজেই মানুন, সুস্থ থাকুন পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল ও অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি: ডিএমপি কমিশনার সোমবার দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক সংলাপে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুনামগঞ্জে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা প্রায় দুই কোটি টাকার প্রসাধনসামগ্রী জব্দ ”এ ধরনের পদক্ষেপ সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমান”: পাক সিজেসিসি চেয়ারম্যান ইশরাককে শপথ না করানোয় নগর ভবনে ফের অবস্থান কর্মসূচি, অচল কার্যক্রম ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আইএইএ’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করলো ইরান বিএসএফের গুলিতে কুলাউড়ার সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক নিহত

গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৪ ঘন্টায় নিহত অন্তত ৭২ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজার পরিস্থিতি দিনদিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর টানা হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৩২১ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জন। তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে শনিবার (৩১ মে)।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি। এ সময় আহত হয়েছেন ২৭৮ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে আছেন, যাদের জীবিত না মৃত তা এখনো নিশ্চিত নয়। ফলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহল বারবার গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই অভিযান চলবে, যতক্ষণ না হামাস পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর হয় এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা সম্ভব হয়।

এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহেই জীবিত ও মৃত মিলিয়ে ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। এর বদলে ইসরায়েলি কারাগারে আটক থাকা ১ হাজার ২৩৬ জন ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ১৮০ জনের মরদেহ ফেরত দেয়া হবে।

যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মতি জানালেও হামাস এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি। তবে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসে এই যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।

যদি হামাস প্রস্তাবটি মেনে নেয় এবং স্বাক্ষর করে, তাহলে জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে দ্রুত গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ফলে গাজায় সাময়িক শান্তির কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও যুদ্ধ বন্ধে এখনো রয়েছে বড় অনিশ্চয়তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৪ ঘন্টায় নিহত অন্তত ৭২ জন

আপডেট সময় ১১:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

গাজার পরিস্থিতি দিনদিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর টানা হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৩২১ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জন। তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে শনিবার (৩১ মে)।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি। এ সময় আহত হয়েছেন ২৭৮ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে আছেন, যাদের জীবিত না মৃত তা এখনো নিশ্চিত নয়। ফলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহল বারবার গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই অভিযান চলবে, যতক্ষণ না হামাস পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর হয় এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা সম্ভব হয়।

এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহেই জীবিত ও মৃত মিলিয়ে ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। এর বদলে ইসরায়েলি কারাগারে আটক থাকা ১ হাজার ২৩৬ জন ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ১৮০ জনের মরদেহ ফেরত দেয়া হবে।

যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মতি জানালেও হামাস এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি। তবে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসে এই যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।

যদি হামাস প্রস্তাবটি মেনে নেয় এবং স্বাক্ষর করে, তাহলে জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে দ্রুত গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ফলে গাজায় সাময়িক শান্তির কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও যুদ্ধ বন্ধে এখনো রয়েছে বড় অনিশ্চয়তা।