ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান: রেলপথ উন্নয়নে বড় সহায়তা শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি: ইরানের ঘোষণা বৃষ্টির বাধা মানছে না কোরবানির হাট, জমে উঠেছে পশু কেনাবেচা দেশে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে রেকর্ড গতি, ১০ মাসেই শোধ ৩৫০ কোটি ডলার দক্ষিণের ৭ নদীতে পানি বিপদসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল গণতন্ত্র পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের বিধ্বস্ত, নিহত ৪ নতুন ধানের জাত ‘জিএইউ ধান-৩ উদ্ভাবন করল গাকৃবি নৌ পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে আটক ৪০১, উদ্ধার ৭টি মৃতদেহ

আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা সই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি: সংগৃহীত

 

জাপানে ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জাপানের ব্যবসায়ী ও কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার টোকিওতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “জাপানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। এটি শুধু একটি চাকরির সুযোগ নয়, বরং জাপানকে জানার ও শেখার একটি দ্বার খুলে দেবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য।”

সেমিনারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়। প্রথমটি বিএমইটি (বাংলাদেশ ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) ও কাইকম ড্রিম স্ট্রিট (KDS)-এর মধ্যে, যা একটি জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ। দ্বিতীয়টি বিএমইটি, জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোঅপারেটিভস (NBCC) এবং জেবিবিআরএ (জাপান-বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি)-র মধ্যে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ২৭ বছরের নিচে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। আজকের অনুষ্ঠানটি একটি নতুন সম্ভাবনার দরজা উন্মোচন করেছে।”

জাপানের শিজুওকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সমবায়ের প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, “বাংলাদেশিদের প্রতি জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশের মেধাবী তরুণদের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সম্ভাবনা।”

এনবিসিসির চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে তরুণ ও দক্ষ শ্রমিকের একটি সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে দেখছি। আগামী পাঁচ বছরে আমরা এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।”

ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে জানান, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত তাদের স্কুল প্রতি বছর ১৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং শিগগিরই তা ৩০০০-এ উন্নীত করা হবে।

জেইটিসিও (Japan International Trainee & Skilled Worker Cooperation Organization)-এর চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি বলেন, “বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভাষা শেখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও তাদের দক্ষতা জাপানের বাজারে অত্যন্ত মূল্যবান।”

জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, “জাপানের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, এ কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা অপরিহার্য হয়ে উঠবে।”

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটিরও বেশি হতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা সই

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

জাপানে ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জাপানের ব্যবসায়ী ও কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার টোকিওতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “জাপানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। এটি শুধু একটি চাকরির সুযোগ নয়, বরং জাপানকে জানার ও শেখার একটি দ্বার খুলে দেবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য।”

সেমিনারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়। প্রথমটি বিএমইটি (বাংলাদেশ ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) ও কাইকম ড্রিম স্ট্রিট (KDS)-এর মধ্যে, যা একটি জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ। দ্বিতীয়টি বিএমইটি, জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোঅপারেটিভস (NBCC) এবং জেবিবিআরএ (জাপান-বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি)-র মধ্যে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ২৭ বছরের নিচে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। আজকের অনুষ্ঠানটি একটি নতুন সম্ভাবনার দরজা উন্মোচন করেছে।”

জাপানের শিজুওকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সমবায়ের প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, “বাংলাদেশিদের প্রতি জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশের মেধাবী তরুণদের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সম্ভাবনা।”

এনবিসিসির চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে তরুণ ও দক্ষ শ্রমিকের একটি সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে দেখছি। আগামী পাঁচ বছরে আমরা এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।”

ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে জানান, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত তাদের স্কুল প্রতি বছর ১৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং শিগগিরই তা ৩০০০-এ উন্নীত করা হবে।

জেইটিসিও (Japan International Trainee & Skilled Worker Cooperation Organization)-এর চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি বলেন, “বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভাষা শেখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও তাদের দক্ষতা জাপানের বাজারে অত্যন্ত মূল্যবান।”

জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, “জাপানের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, এ কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা অপরিহার্য হয়ে উঠবে।”

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটিরও বেশি হতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।