ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এলজিইডিতে দুদকের অভিযান, ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ শিক্ষকদের অনাস্থায় কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনে বড় দুর্ঘটনা, ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ বললেন কিম জং উন বিচারপতি দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করলেন রাষ্ট্রপতি দুদক কর্তৃক কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের রায় সংগ্রহের প্রচেষ্টা। সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজের ৬ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর আজ থেকে শুরু ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের অগ্রিম ট্রেন টিকিট বিক্রি ফেনী সীমান্তে বিএসএফ-এর পুশইন, ৬ পরিবারের ২৭ জন আটক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত একাধিক সাংবাদিক

ট্রাম্প-রামাফোসা বৈঠক: শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা ও জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের শুরুটা ছিল হাস্যোজ্জ্বল, কিন্তু অল্প সময়েই তা উত্তপ্ত বিতর্কে রূপ নেয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ তোলেন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা জেলেনস্কির মতো সরাসরি বাকবিতণ্ডায় না জড়িয়ে সংযতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।

বৈঠকের এক পর্যায়ে ট্রাম্প ওভাল অফিসে উপস্থিত সবাইকে একটি ভিডিও দেখান, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খামারে সহিংসতার দৃশ্য রয়েছে। ভিডিওটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ধারণ করা, ঠিক এক সপ্তাহ আগে ওই খামারে দু’জন নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ভিডিওর পাশাপাশি ট্রাম্প কিছু সংবাদপত্রের কাটিং তুলে ধরেন, যেগুলোকে তিনি শ্বেতাঙ্গ নিপীড়নের প্রমাণ হিসেবে দাবি করেন।

বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দেশ ছাড়ছে। শ্বেতাঙ্গদের জমি দখল করা হচ্ছে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে।”

ট্রাম্পের এমন একের পর এক অভিযোগের মুখে রামাফোসা শান্তভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। তাই বৈঠকে ট্রাম্পের মন গলাতে রামাফোসা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন দেশটির খ্যাতিমান শ্বেতাঙ্গ গলফ খেলোয়াড়দেরও। তবে তাতেও ট্রাম্পের প্রস্তুত স্ক্রিপ্টে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার, জরুরি মার্কিন সহায়তা বাতিল, শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু আফ্রিকানারদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আইসিজে-তে করা মামলার তীব্র সমালোচনা।

বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ থেকে ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প-রামাফোসা বৈঠক: শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা ও জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১১:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের শুরুটা ছিল হাস্যোজ্জ্বল, কিন্তু অল্প সময়েই তা উত্তপ্ত বিতর্কে রূপ নেয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ তোলেন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা জেলেনস্কির মতো সরাসরি বাকবিতণ্ডায় না জড়িয়ে সংযতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।

বৈঠকের এক পর্যায়ে ট্রাম্প ওভাল অফিসে উপস্থিত সবাইকে একটি ভিডিও দেখান, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খামারে সহিংসতার দৃশ্য রয়েছে। ভিডিওটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ধারণ করা, ঠিক এক সপ্তাহ আগে ওই খামারে দু’জন নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ভিডিওর পাশাপাশি ট্রাম্প কিছু সংবাদপত্রের কাটিং তুলে ধরেন, যেগুলোকে তিনি শ্বেতাঙ্গ নিপীড়নের প্রমাণ হিসেবে দাবি করেন।

বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দেশ ছাড়ছে। শ্বেতাঙ্গদের জমি দখল করা হচ্ছে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে।”

ট্রাম্পের এমন একের পর এক অভিযোগের মুখে রামাফোসা শান্তভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। তাই বৈঠকে ট্রাম্পের মন গলাতে রামাফোসা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন দেশটির খ্যাতিমান শ্বেতাঙ্গ গলফ খেলোয়াড়দেরও। তবে তাতেও ট্রাম্পের প্রস্তুত স্ক্রিপ্টে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার, জরুরি মার্কিন সহায়তা বাতিল, শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু আফ্রিকানারদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আইসিজে-তে করা মামলার তীব্র সমালোচনা।

বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ থেকে ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের আশা প্রকাশ করা হয়েছে।