ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৭তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, যা কার্যকর হবে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নামে পরিচিত তেল ট্যাংকার বহরের উপর এবং তৃতীয় দেশগুলিকে লক্ষ্য করে, যারা রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করছে।

প্রধান লক্ষ্যবস্তু:

১/ ‘শ্যাডো ফ্লিট’:
প্রায় ২০০টি রাশিয়ান তেল ট্যাংকারকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যেগুলি পুরনো, অপ্রতিষ্ঠিত মালিকানাধীন এবং প্রায়ই বিমা ছাড়া পরিচালিত হয়। এই জাহাজগুলি প্রায়শই AIS ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে এবং জাহাজ-থেকে-জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের উৎস গোপন করে।

২/ তৃতীয় পক্ষের দেশ:
তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং সার্বিয়ার কোম্পানিগুলিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।

অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা:

১/ দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য পণ্য:
রাশিয়ার সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের সঙ্গে যুক্ত ৮৫টি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ড্রোন, মিসাইল এবং অন্যান্য সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।

২/ মানবাধিকার লঙ্ঘন:
রাশিয়ার বিচারক ও প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যারা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি এবং কর্মী ভ্লাদিমির কারা-মুরজার মামলায় জড়িত ছিলেন।

৩/ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা:
মিসাইল-সম্পর্কিত রাসায়নিক উপাদান এবং অন্যান্য শিল্প সামগ্রীর রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বারো আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার ব্যাংকিং, আর্থিক ও জ্বালানি খাতে।

এই নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের মাধ্যমে ইইউ রাশিয়ার অর্থনীতির উপর চাপ বাড়াতে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বাধ্য করতে চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত

আপডেট সময় ০৭:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৭তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, যা কার্যকর হবে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নামে পরিচিত তেল ট্যাংকার বহরের উপর এবং তৃতীয় দেশগুলিকে লক্ষ্য করে, যারা রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করছে।

প্রধান লক্ষ্যবস্তু:

১/ ‘শ্যাডো ফ্লিট’:
প্রায় ২০০টি রাশিয়ান তেল ট্যাংকারকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যেগুলি পুরনো, অপ্রতিষ্ঠিত মালিকানাধীন এবং প্রায়ই বিমা ছাড়া পরিচালিত হয়। এই জাহাজগুলি প্রায়শই AIS ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে এবং জাহাজ-থেকে-জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের উৎস গোপন করে।

২/ তৃতীয় পক্ষের দেশ:
তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং সার্বিয়ার কোম্পানিগুলিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।

অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা:

১/ দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য পণ্য:
রাশিয়ার সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের সঙ্গে যুক্ত ৮৫টি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ড্রোন, মিসাইল এবং অন্যান্য সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।

২/ মানবাধিকার লঙ্ঘন:
রাশিয়ার বিচারক ও প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যারা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি এবং কর্মী ভ্লাদিমির কারা-মুরজার মামলায় জড়িত ছিলেন।

৩/ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা:
মিসাইল-সম্পর্কিত রাসায়নিক উপাদান এবং অন্যান্য শিল্প সামগ্রীর রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বারো আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার ব্যাংকিং, আর্থিক ও জ্বালানি খাতে।

এই নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের মাধ্যমে ইইউ রাশিয়ার অর্থনীতির উপর চাপ বাড়াতে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বাধ্য করতে চায়।