যুক্তরাষ্ট্র-সৌদির ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অস্ত্রচুক্তি: সৌদির সামরিক শক্তি বাড়বে বহুগুণ

- আপডেট সময় ১০:৫৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / 4
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করবে। মঙ্গলবার (১৫ মে) রিয়াদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
হোয়াইট হাউস এই চুক্তিকে “ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা বিক্রয় চুক্তি” বলে উল্লেখ করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই চুক্তির অংশ হিসেবে এক ডজনেরও বেশি মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি সৌদি আরবের জন্য সর্বাধুনিক অস্ত্র, সামরিক সেবা এবং প্রশিক্ষণ সরবরাহ করবে।
চুক্তির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সৌদি বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়ন, মহাকাশ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা। এছাড়া সামুদ্রিক ও উপকূলীয় নিরাপত্তা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, স্থলবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন এই চুক্তির আওতায় রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, চুক্তিটি পাঁচটি প্রধান খাতে বিস্তৃত— বিমান ও মহাকাশ, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, নৌ ও উপকূলীয় নিরাপত্তা, স্থলবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষা, এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত।
চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। দুই নেতা প্রতিরক্ষা ছাড়াও জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে একাধিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রতিরক্ষা চুক্তির পাশাপাশি আরও কয়েকটি রূপান্তরমূলক বিনিয়োগ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মোট মূল্য ৬০০ বিলিয়ন ডলার। এসব বিনিয়োগে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রযুক্তি, শক্তি ও খনিশিল্প খাতের বড় বড় প্রকল্প।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাদশাহ সালমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাদশাহ সালমান পার্ক ও কিদিয়া সিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নেও অংশ নেবে।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, “সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আজ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি সই হয়েছে, যা আগামী মাসগুলোতে বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।”
মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘অসাধারণ একজন মানুষ’ বলে প্রশংসা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সৌদি আরবকে ‘চমৎকার একটি জায়গা’ বলেও উল্লেখ করেন।